গোলাম রব্বানী: টুঙ্গিপাড়ার সাংবাদিক পুত্র আরমান হত্যার ২০দিন। কোন সুরাহ মেলেনি আজও।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গিমাডাঙ্গা মুন্সীরচর এলাকার সাংবাদিক তপু শেখের একমাত্র আদরের ছেলে আরমান শেখ গত ১১ই মে বাড়ি থেকে বের হয়ে লাশ হয়ে বড়ি ফেরে ১২ই মে। আরমান শেখের হত্যার ব্যপারে তপু শেখ বাদী হয়ে টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের ১৮ দিন পার হয়ে যাচ্ছে মামলার হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত গিমাডাঙ্গা মধ্যে পাড়ার নওশের মোল্লার ছেলে সাইফুল নামক এক আসামিকে আটক করে টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ । গোপন সূত্রে জানা যায়, আরমানকে যেদিন হত্যা করা হয় ঐ দিন বারবার আরমানের মুঠফোনে কল করে গ্রেফতারকৃত আসামি সাইফুল। কল হিস্ট্রিতে অনুমান করা যায় আরমানকে সাইফুলই ডেকে নিয়ে এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত করে। সাইফুলের দেওয়া প্রাথমিক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে বলেছে আরমানকে যখন নিয়ে যাওয়া হয় হত্যা করতে তখন আমি ওদের সাথে ইজিবাইকে ছিলাম ওরা যখন দাড়িয়ারকুল দিকে নিয়ে যাচ্ছিল তখন আমি নেমে যাই। আরমানকে ওরা কি কারণে হত্যা করল জবাবে সে নাকি বলেছে গত কয়েক বছর আগে টুঙ্গিপাড়ায় একটি স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ হয় ঐ ধর্ষণের আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে আরমানের বাবা তপু শেখ মানববন্ধন করে আসামিদের গ্রেফতার করতে সাহায্যে করেছিল। ইজি বাইকের ব্যপারে সে কিছুই জানেনা। স্বীকারোক্তিতে আসামি সাইফুর আরো ২ জন হত্যার সাথে জড়িত ছিল বলে নাম প্রকাশ করে। আসামীর জবানবন্দিতে এটা সুস্পষ্ট যে কেউ হয়ত মিথ্যা বলছে বা তাকে দিয়ে বলাচ্ছে। কারণ টুঙ্গিপাড়ায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষণে ঘটনার সময় সাংবাদিক তপু শেখ সাংবাদিক জগতে ছিলই না। আসামির দেওয়া জবানবন্দি যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে ও এই হত্যাকাণ্ডের একজন প্রকৃত আসামি। আপরদিকে আসামি সাইফুলকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার ব্যপারে শোনা যায় আসামি জবানবন্দি দিলে রিমান্ডে আনার প্রয়োজন হয় না, কারণ সে তার স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে সাইফুলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আরো দুই জনের নাম পাওয়া যায় আরমান হত্যার আজ ১৮ দিন পার হলেও টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ বাকি ২ আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় নাই। সাংবাদিক তপু শেখের ছেলের হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে না পারায় সারা দেশের সাংবাদিক মহলে অসন্তষের ছায়া নেমেছে। সারা দেশে আরমান হত্যার আসামি গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানব বন্ধনের ডাক দিয়েছে। এদিকে গোপালগঞ্জে গত রবিবার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় মানব বন্ধনে সাংবাদিক নেতারা কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন আগামী ৩ জুনের ভিতরে হত্যার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করতে না পারলে ৪ জুন থেকে গোপালগঞ্জের সাংবাদিকদের লাগাতার আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দেন।
এ ব্যপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার ওসি অপারেশন নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন মামলার তদন্ত চলমান।মামলার সাথে জড়িত সাইফুলের রিমান্ডের আবেদন করেছি, আসামির দেওয়া জবানবন্দিতে পাওয়া মিতুলকে এখনও ধরতে পারি নাই। সাথে থাকা ইজি বাইক এখনো উদ্ধার করতে পারি নাই।
আরমান হত্যার ২০ দিনে পা রাখল। আরমান হত্যার সাথে জড়িত এক আসামিকে টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও বাকি আসামিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। গ্রেফতারকৃত আসামী সঠিক ভাবে বলতে পারেনা ইজিবাইকটি কোথায় বা কে নিয়েছে। তদন্তকারী অফিসারের ভাষ্য মতে ইজি বাইকটি উদ্ধারে জন্য কয়েকবার অভিযান করেছে, তাতেও ব্যর্থতার প্রকাশ পায়। সাধারণ মানুষের মনে নানা প্রশ্ন জাগছে আরমান হত্যাকে নিয়ে কোন পলিটিক্যাল প্রেসার বা কোন মহলের হস্তক্ষেপে মামলাটির গতি কমে গেছে কিনা। চাঞ্চাল্যকর আরমান হত্যার ব্যাপারটি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে আসামিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান গোপালগঞ্জ জেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিক মহল।