জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকীতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তার সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২৬ মিনিটে জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি। এর পরই শ্রদ্ধা জানাতে আসেন প্রধানমন্ত্রী।
ওই সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল; বেজে ওঠে বিউগলের করুণ সুর। কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
তারপর বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পাঠ ও মোনাজাত করা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ, তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর আড়াইটায় টুঙ্গিপাড়ার বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ‘টুঙ্গিপাড়া : হৃদয়ে পিতৃভূমি’ শীর্ষক আয়োজনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেল ৪টার দিকে হেলিকপ্টারে করে তার ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে।
টুঙ্গিপাড়ায় শুক্রবার আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আরেকটি আলোচনা সভা হবে। এরপর ধারাবাহিকভাবে ১৯ মার্চ ছাত্রলীগ, ২০ মার্চ শ্রমিক লীগ, ২১ মার্চ কৃষক লীগ, ২২ মার্চ যুবলীগ, ২৩ মার্চ যুব মহিলা আওয়ামী লীগ, ২৪ মার্চ মহিলা আওয়ামী লীগ এবং ২৫ মার্চ স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা হবে।
এর আগে সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এ সময় জাতির পিতাকে গার্ড অব অনার জানায় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কিছুটা সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এরপর বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পাঠ ও মোনাজাত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সবার জন্য খুলে দেয়া হয় ৩২ নম্বর। একে একে শ্রদ্ধা জানাতে আসে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাঙালি জাতির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।