ফরহাদ রহমান,টেকনাফ প্রতিনিধি: টেকনাফ বিজিবির বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১০ কেজি ৫ গ্রাম বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বার, বাংলাদেশী নগদ ৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ২৪০/- টাকা, মিয়ানমার মুদ্রা ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৫০০ কিয়াত এবং ১০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছেন টেকনাফ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)।
গ্রেফতারকৃতরা,মিয়ানমার মংডু থানার সোদাপাড়া গ্রামের মৃত ইউনুছের ছেলে মোঃ হাফিজুর রহমান (২৮) ও একই এলাকার মৃত সুলতানের ছেলে মোঃ আনোয়ার (৩০)।
টেকনাফ দুই বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ দুই বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধীনস্থ টেকনাফ বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৬ হতে আনুমানিক ১.৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে টেকনাফ পৌরসভাস্থ অলিয়াবাদ এলাকায় মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে চোরাকারবারীরা স্বর্ণের বড় চালান ও মাদকদ্রব্যসহ একটি বাড়ীতে অবস্থান করছেন।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ দুই বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরের একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল দ্রুত অলিয়াবাদ এলাকায় গমন করে পূর্বে প্রাপ্ত বর্ণনা অনুযায়ী সন্দেহভাজন
বাড়ীটিতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে ঘেরাও করে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করেন। বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে উক্ত বাড়ীতে অবস্থানরত সন্দেহভাজন দুইজন ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি টহলদল উক্ত চোরাকারবারীদের স্বর্ণের দুইটি ব্যাগসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যাগের ভিতর থেকে ১১ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ১০ কেজি ৫ গ্রাম বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বার,
বাংলাদেশী নগদ ৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ২৪০/- টাকা, মিয়ানমার মুদ্রা ২লক্ষ ২৯ হাজার ৫০০ কিয়াত এবং ১০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য,চোরাকারবারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায়, তারা বিভিন্ন সময় মিয়ানমার থেকে স্বর্ণালংকার এবং মাদকদ্রব্য (বিশেষ করে ইয়াবা ট্যাবলেট) বাংলাদেশে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে পাচার করে থাকেন।
তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বার, বাংলাদেশী নগদ টাকা এবং মিয়ানমার মুদ্রা কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (ট্রেজারী শাখায়) জমা করা হয়। গ্রেফতারকৃত ২ জন আসামীকে মোবাইল ফোনসহ তাদের বিরুদ্ধে সরকারী কর/শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে স্বর্ণ
চোরাচালানের দায়ে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় সোপার্দ করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ দুই বিজিবি ব্যাটলিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমদ।