ফরহাদ রহমান,টেকনাফ প্রতিনিধি: টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে একজন আসামীসহ ২৪০ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ১টি রকেট বোম্ব, ২টি গ্রেনেড এবং ১টি কম্পাস উদ্ধার করা হয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কক্সবাজার রিজিয়নের, রামু সেক্টরের অধীনস্থ, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) সদা জাগ্রত অতন্দ্র প্রহরী থেকে সীমান্ত নিরাপত্তায় বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে দায়িত্ব পালন করছে। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সীমান্ত সুরক্ষা ছাড়াও চোরাচালান, মাদকদ্রব্য, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং আন্তঃ রাষ্ট্রীয় সীমান্ত অপরাধ দমনে যথাযথ ও কার্যকরীভাবে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে বেসামরিক পরিমন্ডলে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে একজন আসামীসহ ২৪০ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ১টি রকেট বোম্ব, ২টি গ্রেনেড এবং ১টি কম্পাস উদ্ধার করা হয়।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ২০ অক্টোবর শাহপরীরদ্বীপ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৪ হতে আনুমানিক ৮০০ মিটার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে জালিয়াপাড়া নামক এলাকায় মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে চোরাকারবারীরা আগ্নেয়াস্ত্রের গোলাবারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি একটি বাড়ীতে লুকায়িত রেখেছে।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ বিজিবিএমএস জানান, তথ্যের ভিত্তিতে আনুমানিক ৪ ঘটিকার সময় টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদরের একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল দ্রুত জালিয়াপাড়া এলাকায় গমন করতঃ পূর্বে প্রাপ্ত বর্ণনা অনুযায়ী সন্দেহভাজন বাড়ীটিতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে ঘেরাও করে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে উক্ত বাড়ীতে অবস্থানরত সন্দেহভাজন একজন ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি টহলদল উক্ত ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে আটককৃত চোরাকারবারীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বসত বাড়ীর আঙ্গিনায় বালির বস্তার নিচে লুকায়িত অবস্থায় দুইটি ব্যাগের ভিতর হতে ২৪০ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ১টি রকেট বোম্ব, ২টি গ্রেনেড এবং ১টি কম্পাস উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান,চোরাকারবারীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে আগ্নেয়াস্ত্রের গোলাবারুদ, গ্রেনেড, রকেট বোম্ব ও কম্পাস মায়ানমার হতে পাচার করে নিয়ে আসে এবং অবৈধ উদ্দেশ্যে নিজের হেফাজতে রাখে। ধৃত আসামী হলেন,সাবরাং শাহপরীরদ্বীপ জালিয়াপাড়া মৃত সুলতানের ছেলে মোঃ শফিউল আলম (৫৫)।
উল্লেখ্য, আটককৃত আসামীকে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্রের গোলাবারুদ, গ্রেনেড, রকেট বোম্ব ও কম্পাস চোরাচালানের দায়ে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।