বিরাট কোহলি চাইলে ঘরের মাঠে টেস্ট খেলে নেতৃত্ব ছাড়তে পারতেন। সেই ফেয়ারওয়েল টেস্ট হত বেশ জমকালো। বেঙ্গালুরুতে তার অগণিত ভক্তদের সামনে নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড খুলে রাখতেই পারতেন কোহলি। এক বোর্ড আধিকারিক তাঁকে সেই প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তো বিরাট কোহলি। নিজে যা স্থির করেন সেই অনুযায়ী চলেন। অন্য কারওর কথায় প্রভাবিত হওয়ার বান্দা নন। তাই সযত্নে বোর্ড কর্মকর্তাদের দেওয়া প্রস্তাব সরিয়ে রাখেন। জানিয়ে দেন, তিনি তার সিদ্ধান্ত থেকে সরছেন না।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ হারার পর দিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরাট কোহলি জানিয়ে দেন, তিনি টেস্টের নেতৃত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন। কিন্তু তার সতীর্থরা আরও আগেই জানতেন তাঁর ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার খবর। সাজঘরেই কোহলি খবরটি দেন। কিন্তু কেউ যেন বহির্বিশ্বকে এই খবরটি না জানান, তার জন্য অনুরোধও করেছিলেন।
ইনস্টাগ্রামে বিবৃতি দিয়ে কোহলি জানান, টেস্ট দলের নেতৃত্ব আর দেবেন না তিনি।
ভারতের একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার এক বোর্ড কর্মকর্তা ফোন করে কোহলিকে তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, তাড়াহুড়ো করে যেন এখনই নেতৃত্ব না ছাড়েন। সব ঠিকঠাক থাকলে কেপটাউনেই শততম টেস্ট ম্যাচ খেলতেন বিরাট। কিন্তু জোহানেসবার্গে পিঠের ব্যথায় কাবু কোহলি নিজেকে সরিয়ে নেন। ফলে শততম টেস্টের মঞ্চ ঘরের মাঠই হবে। সেই কারণে বোর্ড আধিকারিক কোহলিকে অনুরোধ করেন, তিনি যদি চান তাহলে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হতে চলা শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট খেলে নেতৃত্ব ছাড়তেই পারেন। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলেন কোহলি। চিন্নাস্বামী তাঁর হোমগ্রাউন্ড। এখানে তাঁর ভক্তের সংখ্যা অগণিত। চিন্নাস্বামীতেই শততম টেস্ট হতে চলেছে কোহলির। আবার সেই টেস্ট ম্যাচই হত ক্যাপ্টেন হিসেবে কোহলির ফেয়ারওয়েল ম্যাচ। বোর্ড আধিকারিকের এমন লোভনীয় প্রস্তাব পাওয়ার পরে কোহলি জানিয়ে দেন, ”একটা ম্যাচে কিছুই বদলে যাবে না। আর আমি সেরকম নই।”
বোর্ড কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দেন ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার জন্য তিনি বোর্ডের দেওয়া ফেয়ারওয়েল টেস্ট ম্যাচ চান না। নিজে যা স্থির করেছেন, তাতেই তিনি অনড়, অবিচল।