1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ

ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করা নিয়ে নয়াদিল্লি অস্বস্তিতে নেই: ভারত

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি তিনি দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। আর তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে কোনো ধরনের অস্বস্তিতে ভুগবে না ভারত। এমনটাই জানিয়েছেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণম জয়শঙ্কর।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গত রোববার বলেন, ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসনের ব্যাপারে অনেক দেশ বিচলিত। কিন্তু এই দেশগুলোর মধ্যে ভারত নেই।

২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে ট্রাম্প প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। তিনি ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন। সে সময় ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক দেখা গিয়েছিল।

তবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি তিক্ত শুল্ক যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত, যা উভয় পক্ষের ব্যবসা-বাণিজ্যকে প্রভাবিত করেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান উভয় দলের কাছ থেকেই অতীতে সমর্থন পেয়ে এসেছে ভারত। নয়াদিল্লি বছরের পর বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের উভয় দলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভালোভাবে কাজ করে এসেছে।

ওয়াশিংটনের বিভিন্ন প্রশাসন দীর্ঘদিন প্রতিপক্ষ বেইজিংকে মোকাবিলার সমমনা শক্তি হিসেবে নয়াদিল্লিকে বিবেচনা করে আসছে।

গত রোববার এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, এই বিষয়ে নয়াদিল্লির উদ্বেগের কোনো কারণ নেই যে ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নতি হবে না।

জয়শঙ্কর আরও বলেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি প্রথম যে তিনজনের ফোন ধরেছেন, তাঁদের মধ্যে মোদি ছিলেন বলে তিনি মনে করেন।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে জয়শঙ্করের এমন আশাবাদ সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে শুল্ক যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে।

গত অক্টোবরে মোদিকে ‘মহান নেতা’ বলে অভিহিত করেছিলেন ট্রাম্প। তবে তিনি একই সঙ্গে ভারতের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শুল্ক নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্প-মোদির সম্পর্ক দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য-সংক্রান্ত মতপার্থক্য কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

অতীতে ট্রাম্প ও মোদি উভয়ে বারবার পরস্পরকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি