ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বেলসুয়া গড়িনাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার রায় এর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, যৌতুক দাবির অভিযোগে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত, পীরগঞ্জ অঞ্চল, ঠাকুরগাঁয়ে ২০১৮ সালের যৌতুক বিরোধ আইনের ৩ ধারায় মামলা দায়ের করা হইয়াছে। মামলা নং- সি.আর ১০৮/২৪। মামলা সূত্রে জানা যায়, স্বপন কুমার রায়, পিতা- মৃত মহেশ চন্দ্র রায়, সাং- আগ্রাগরিনাবাড়ী, পোঃ হরসুয়া, থানা- পীরগঞ্জ, জেলা- ঠাকুরগাঁও। শম্পা সরকার, পিতা- মৃত জতীন্দ্র নাথ সরকার, সাং- রানীপুর, পোঃ রানীবন্দর, থানা- চিরিরবন্দর, জেলা- দিনাজপুর এর সাথে পরিচয় হওয়ার পর সক্ষতা গড়ে তোলে বলেন আমার পূর্বের স্ত্রী অরুনা রানী শারীরিক ভাবে ভীষন অসুস্থ্য তাহার জ্বরয়ায়ু ক্যান্সার হয়েছে, বর্তমানে পিতার বাড়ীতে অবস্থান করছে, সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম এই বলিয়া শম্পা সরকারকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। গত ০৪/০৪/২০২৩ইং তারিখে ধর্মীয় শাস্ত্রমতে শম্পা সরকারের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর স্বপন কুমার রায় শম্পা সরকার এর নিকটে থাকা ৫,০০,০০০/- (পাচঁ লক্ষ) টাকা ব্যবসা করার জন্য হাতিয়ে নেয় এবং কিছুদিন যাইতে না যাইতেই স্বপন কুমার রায় নেশা, জুয়া খেলিয়া এবং একাধিক নারীর প্রতি আসক্ত হইয়া টাকা নষ্ট করিয়া ফেলে এরপর শম্পা সরকার এর মাতার বাড়ীর এলাকায় তাহার নামে কিছু জমি রহিয়াছে জানতে পারিয়া জমি বিক্রয় করিয়া তাহাকে আরো আট লক্ষ টাকা যৌতুক আনিতে বলে শম্পা সরকার জমি বিক্রয় করিয়া টাকা না আনিলে তাহার উপর শারীরিক মানসিক ভাবে জুলুম অত্যাচার করিতে থাকে। শম্পা সরকার যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা স্বীকার করিলে স্বপন কুমার রায় ও তার পরিবারের কয়েক জন সদস্য রতন কুমার রায়, নির্মল কুমার রায় মিলিত হইয়া তাহাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মারপিট করিয়া বাড়ী হইতে বাহির করিয়া দেয়। শম্পা সরকার নিরুপায় হইয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত, পীরগঞ্জ অঞ্চল, ঠাকুরগাঁওয়ে ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।