ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: দেশের বিভিন্ন জেলায় নিজস্ব স্থানে ফিরছেন পুলিশ সদস্যরা। তবে দীর্ঘ ৬দিন পর ঠাকুরগাঁওয়ে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ নামলেও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ১২ আগস্ট সকাল থেকে সারাদিনব্যাপী শহরের চৌরাস্তা, বাসস্ট্যান্ড গোলচত্বরসহ প্রতিটি পয়েন্টে শিক্ষার্থীদের অবস্থান ছিল চোখে পড়ার মতো। তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে কেউ মুখে বাঁশি নিয়ে দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন বিভিন্ন যানবাহন চালককে। আবার কেউ বা বয়স্ক ব্যক্তি সহ রাস্তা পারাপারে অক্ষমদের রাস্তা পার করে সহযোগিতা করছেন। এছাড়াও মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবে হেলমেট পরিধান করে মোটরসাইকেইল চালানোর বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, সারা দেশে যানজট নিরসনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ঠাকুরগাঁওয়ে এদিন ট্রাফিক পুলিশ মাঠে নামলেও আমরা তাদের সহযোগী হিসেবে যানজট নিরসনে ভূমিকা রেখে জনগণের যেন ভোগান্তি না হয় সে হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। যেহেতু পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালনে আজ থেকে কাজ করছে তাই আজ আমাদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের শেষ কর্মসূচি। তারা আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে দেশের জনগণ যদি এগিয়ে এসে সবাই একসঙ্গে কাজ করি, তাহলে বাংলাদেশকে সোনার দেশে রূপান্তর করতে বেশিদিন সময় লাগবে না।
এ ছাড়াও বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা যায়, শহরের চৌরাস্তায়, বাসস্ট্যান্ড গোলচত্বরে ট্রাফিক পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা সহ আনসার বাহিনীরাও। ছাত্র-জনতার একদফা আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৫ শতাধিক পুলিশ, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। অনেক থানা ও ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এর আগে, গত ৫ আগস্ট (সোমবার) শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ট্রাফিক পুলিশ সহ সব ইউনিটের পুলিশ সদস্য জীবনের নিরাপত্তার শঙ্কায় কর্মবিরতিতে চলে যান। এরপর থেকে সড়কে শৃঙ্খলার হাল ধরেন শিক্ষার্থীরা। এতে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। শিক্ষার্থীরা সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কাজে নিজেদের যুক্ত করায় বাহবা পাচ্ছেন অনেকেরই। তবে ছয়দিন পর ট্রাফিকের পুলিশ সদস্যরা রাস্তায় ফিরলেও তাদের মধ্যে এখনও রয়েছে অনেক জড়তা, রয়েছে আতঙ্ক। তাই তাদের সঙ্গে এক হয়ে জনগণের ভোগান্তি দূরীকরণে পয়েন্টগুলোতে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা।