ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: স্ত্রীর দায়ের করা মামলার আসামি দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর অবশেষে গ্রেফতার হলেন- ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর সিংপাড়া (বিলপাড়া) গ্রামের গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী স্বামী জাহাঙ্গীর আলম।
সম্প্রতি ২০ জুন বৃহস্পতিবার তিনি ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ পারিবারিক জজ আদালতে আত্মসমর্পন করতে গেলে আদালত তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে হাজতে প্রেরনের আদেশ প্রদান করেন। মামলা বিবরনে জানা যায়, মামলার বাদিনী ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর কচুবাড়ি মাটিগাড়া গ্রামের মো: আব্দুর রহমানের কন্যা মোছা: রুমা খাতুন সম্পর্কে আসামী জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এ অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলম কয়েক বছর থেকে স্ত্রীর সাথে বনিবনাজনিত সমস্যা ও সংসারে অশান্তি সৃস্টি করে। পরক্ষনেই তিনি স্ত্রী ও কন্যা সন্তানের ভরন পোষন সহ যাবতীয় খরচ বন্ধ করে দিয়ে তালাক প্রদান করেন। রুমা খাতুন কন্যা সন্তান সহ দিনযাপন করতে মারাত্মক সমস্যায় পরলে ২০২১ সালের ২৪ মার্চ ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ পারিবারিক জজ আদালতে ৩০২/১৫ নং মামলা দিয়ে দেন মোহর ও ভোরণ-পোষনের জন্য ডিক্রী প্রর্থনা করেন। বিজ্ঞ আদালত জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করলে তিনি নিজেকে আড়াল করতে পাসপোর্ট ও ইরাক দেশের ভিসা নিয়ে সেখানে চলে যান। সেখানে শ্রমিক হিসাবে ৫ বছর কাজ করাকালীন সময়ে নিজের নামে বিজ্ঞ আদালতের পক্ষ থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারীর বিষয়টি জানতে পেরে পুনরায় ইরাক দেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। বাংলাদেশে অনেকদিন লুকিয়ে থাকার পর অবশেষে ২০ জুন বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীর আলম ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ পারিবারিক জজ আদালতে আত্মসমর্পন করতে গিয়ে গ্রেফতার হন ।