ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়ায় গোরস্থানে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় গড়েয়া কেন্দ্রীয় কবর স্থানটি হাটের পানিতে কয়েকদিন থেকে ডুবে থাকে। গড়েয়া কিসামত তেয়ারীগাও এলাকার এক ব্যবসায়ী জানান গত বৃহস্পতিবার তার মা ইন্তেকাল করলে কবর স্থানে পানি জমে থাকার কারনে নানা রকমের বিড়াম্বনায় পরতে হয় তার পরিবার কে। মৃত ব্যক্তির লাশ রাখার জায়গা টুকুতেও এক হাটু পানি জমে আছে। এতে করে গড়েয়া এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শত বছরের ঐতিহাসিক গোরস্থান টি প্রায় আট একর জায়গায় অবস্থিত। সরকারি ও জেলা পরিষদ বরাদ্দে গোরস্থানের উত্তর দিকে পাঁকা বাউন্ডারির কাজ করা হয়েছে। আরো কিছু অংশের কাজ বাকি রয়েছে। এখন শুধু পানি নিষ্কাশনের সঠিক পরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহনের জরুরী প্রয়োজন। গড়েয়া হাটের পানি নিষ্কাশনের সঠিক পরিকল্পিত ব্যবস্থা না থাকায় গোরস্থানে হাটের ড্রেনের দুইটি মুখ কবর স্থানে সংযোগ থাকার কারনে সম্পূর্ণ হাটের পানিতে ডুবে আছে গড়েয়া হাটের গোরস্থান টি।
২০২০ সালের ২৯ শে জুন বিভিন্ন গণমাধ্যমে গোরস্থানের সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে ছুটে গিয়েছিলেন এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন। এবছর ও একই অবস্থা পড়তে হয়েছে এলাকা বাসীকে। ওই সময় সদর ইউএনও’র নির্দেশনায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সেখানে অস্থায়ী ভাবে ১৬টি ১৬্য়ঁড়ঃ; মোটা পাইপ লাগানো হয় এবং পানি নিষ্কাশন করা হয়। কিন্তু অন্যের জমি হওয়ার কারনে পানি নিষ্কাশন শেষে পাইপ গুলো তুলে চেয়ারম্যানের হেফাজতে রাখা হয় বলে জানান জমি মালিক ও গোর স্থান কমিটির লোকজন ।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, গড়েয়া হাটের হাফেজিয়া মাদ্রাসা হয়ে হাটের ভিতরে গড়েয়া চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে একটি সরকারি ড্রেনের কাজ হচ্ছিলো কিন্তু কি কারনে কাজটি চালু করে আবার বন্ধ রাখা হয়েছে তা আমরা জানিনা। তবে ঐ ড্রেনটির অসমাপ্ত কাজটি যদি সমাপ্ত করা হতো এবং গোরস্থানের একটি ড্রেন বা পাইপ লাইনের মাধ্যমে ঐ মেইন ড্রেনের সাথে যোগ করা যেত তাহলে আমাদের ধারনা গড়েয়া হাটের জলাবদ্ধতা ও গড়েয়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানের জলাবদ্ধতা থেকে সাধারন জনগণ মুক্তি পাবে। দল মত নির্বিশেষে গড়েয়ার ধর্ম প্রাণ মুসলমান গণ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় জন প্রতিনিধি এবং হাট ইজারাদার সহ সকলের কাছে দ্রæত একটি স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান। তা না হলে বারবার বার বার এধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন এবং দ্রæত পানি নিষ্কাশনের জন্য স্থায়ীভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করেন।