বাজারে দাম ওঠা-নামা করলেও ডলারের রেট খুব বেশি বাড়ার সম্ভবনা নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিকবিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ডলারের রেট বাড়ার বিষয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের কিছু ডিফারেন্স (পার্থক্য) আছে, সেটি আমরা স্বীকার করি। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন জিনিসপত্রের দাম কমে যায়, আমাদের মূল্যস্ফীতিতে আমদানি মূল্যস্ফীতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা বাইরে থেকে মালামাল ক্রয় করি, রেটের কারণে সেই মালামালের দামটা বাড়ে।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু রপ্তানি বাড়ছে, আমদানিও বাড়ছে। আমদানির জন্য সেখানে ফিন্যান্সিং করা লাগে। তাই মার্কেট ওঠা-নামা করবেই। সেটা অনেক বেশি ওঠা-নামা দেখতে পারবো না। আমাদের এখানে রেট বেশি বাড়ার সম্ভবনা নেই।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আজ অর্থনৈতিকবিষয়ক সংক্রান্ত একটি প্রস্তিব ছিল, রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমাণ নির্ধারণ করা। কীভাবে রপ্তানি বাণিজ্য আমরা করবো, তার নীতিনির্ধারণ করা। আমরা ২০২১-২৪ সাল পর্যন্ত এর খসড়া নীতিনির্ধারণ করেছি, এটা অনুমোদনও দিয়েছি। বিদ্যমান রপ্তানি বাণিজ্যের যে লক্ষ্যমাত্রা, সেটি ৬০ বিলিয়ন মর্কিন ডলার। এটিকে বৃদ্ধি করে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছি। এর জন্য আনুষঙ্গিক যেসব বিষয় রয়েছে, সেগুলোর জন্য যা যা করা দরকার, তা করবো।
রপ্তানি নীতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রস্তাবিত নীতিতে আগে অধ্যায় ছিল ৮টি। এখন তা ৯টি করা হয়েছে। অগ্রাধিকার খাতে সম্ভাবনাময় নতুন কিছু পণ্য এবং সেবা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ কীভাবে সম্ভব, সেটি এখানে রয়েছে। স্বল্পোন্নত থেকে উন্নত দেশে উত্তরণপরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কর্মকৌশল প্রণয়নের বিস্তারিত রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে টেকসই উন্নয়ন নীতিনির্ধারণে কৌশল প্রয়োজন। আইসিটি সার্ভিসেস এবং ফ্রিল্যান্সিং খাতসহ সেবা খাতে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমদানি নীতির আদেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খাতের ক্ষেত্রসমূহের সামঞ্জস্য বিধান রাখাটাও জরুরি। এছাড়া বিনিয়োগ সহজকরণের নির্দেশনা ও পণ্য সেবা বহুমুখীকরণের সুপারিশ করা হয়েছে। মেড ইন বাংলাদেশ কনসেপ্টকে জোরদার করার প্রস্তাবও এসেছে।’