1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৮ অপরাহ্ন

ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সফল: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ১১ আগস্ট, ২০২১

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মূল্যায়ন করলে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সফল।

আজ বুধবার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন নিয়ে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালে বাংলাদেশে এক হাজার ৪০৫ জন। আমার কাছে যে তথ্য-উপাত্ত তা এক হাজার ১৭৪ জন। গত বছর সিঙ্গাপুরে ৩৪ হাজার, ফিলিপাইনে দুই লাখ ২৫ হাজার, মালয়েশিয়াতে ৪৫ হাজার, ভারতে ৭০ হাজার, ফ্রান্সে ২৮ হাজার জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন।

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যায় অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, গত ২০১৯ সালের জুলাই মাসে প্রায় ৪০ হাজারের মতো (ডেঙ্গু রোগী) ছিল। এবার জুলাই মাসে ১৫-২০ হাজার হয়েছে। এই মুহূর্তে ভিয়েতনামে ৩৭ হাজার, ফিলিপাইনে ৩১ হাজার, মালয়েশিয়াতে তারা সাকসেসফুল হলেও ১৫ হাজার, সিঙ্গাপুরে তিন হাজার ৫০০ রোগী রয়েছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা এখানে প্রাণান্তকর চেষ্টা করতেছি। আপনি যদি ওয়ার্ল্ড কনটেক্সটে (বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে) ইভ্যালুয়েট (মূল্যায়ন) করেন, তাহলে (ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায়) বাংলাদেশ সাকসেসফুল কান্ট্রি (সফল দেশ)।

মন্ত্রী বলেন, আমরা কাজ করছি, আমাদের মেয়ররা কাজ করছেন। কাউন্সিলররা কাজ করছেন। কেবিনেট মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রী আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন যে, আপনার কাউন্সিলররা কাজ করেন কিনা, আমি বলেছি যে কাউন্সিলররা কাজ করেন। আমরা কাউন্সিলরদের সাথে বিভিন্নভাবে মিটিং করেছি। সবার সাথে কথা বলার পরে তারা উৎসাহিত হয়েছেন, আমি তথ্য নিয়েছি তারা সবাই মাঠে আছেন।

এ বছর ডেঙ্গু এত বাড়লো কেন- জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, ওয়ার্ল্ড কনটেক্সটে আমাদের এখানে বাড়েনি। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেড়ে গেছে। ২০১৯ সালে এক লাখ ৪৯ হাজার। এ বছর চার হাজার অতিক্রম করেছে। আপনি কি সারা পৃথিবীর অবস্থা দেখবেন না?

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, এই কার্যক্রমে সকল জনগণকে অংশগ্রহণ করা দরকার। আমরা জানুয়ারি থেকে টিভিসি চালাইছি। প্রায় ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা খরচ করেছি, পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছি। অনেক টেলিভিশনে রাত হলেও কষ্ট করে যোগদান করে বলেছি যে, ফুলের টবে যদি পানি রাখেন তাহলে সেখানে সামান্য কেরোসিন দিয়ে দেন। ছাদে পানি রেখেছেন সেখানে ১০ হাজার বর্গফুটে ২৫০ গ্রাম কেরোসিন ঢেলে দেন তাহলে লার্ভা মরে যায়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য ১০ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমার কাছে অত্যন্ত বেদনাদায়ক, দু-একটা মৃত্যু আমাকে ব্যথিত করেছে। একজন সাংবাদিকের সন্তান মারা গেছে। এটা আমাকেও ব্যথিত করে।

‘সারা পৃথিবীতে এক থেকে চারশ মিলিয়ন লোক প্রতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা, আমেরিকায় অনেক বেশি। আমাদের জন্য এবং গোটা পৃথিবীর জন্য চ্যালেঞ্জ। আমরা জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পুরো বছরে কাজ করি।’

মন্ত্রী আরও বলেন, একটু সমস্যা হচ্ছে, আমার মনে হয়। ঈদের বন্ধ এবং লকডাউন, অনেকে জায়গা পরিবর্তন করেছে। দুই কোটি মানুষ। এখানে বন্ধ হওয়ায় সমস্যাটা হয়েছে। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি