করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জায়গা নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন একটু একটু করে দখল করে নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও লাইন ডাইরেক্টর (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি জানান, ৭৩ শতাংশ রোগীর নাক দিয়ে পানি ঝরছে। ৬৮ শতাংশ রোগীর মাথা ব্যথা, অবসন্নতা অনুভব করছেন ৬৪ শতাংশ রোগী। হাঁচি দিচ্ছেন ৬০ শতাংশ রোগী, গলা ব্যথা ৬০ শতাংশ এবং কাশি দিচ্ছেন ৪৪ শতাংশ রোগী। এ মুহূর্তে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব তথ্য জানান।
ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, গত তিন-চার মাসের তুলনায় হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভর্তি হচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে নিজেদের মতো চললে ক্রমাগত করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়বে এবং তা হাসপাতালের শয্যা সংখ্যার ওপর চাপ বাড়াবে।
তিনি বলেন, গত বছরের শেষ কদিন ও চলতি বছরের প্রথম দিন থেকে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ১৬ জানুয়ারি সংক্রমণের হার ছিল ১৬ দশমিক ৮২ শতাংশ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে (২২ জানুয়ারি) এ হার বেড়ে ২৮ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
নাজমুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক অক্সিজেন সিলিন্ডার, হাইফ্লো নাজেল ক্যানুলার সরবরাহ রয়েছে। এ পর্যন্ত ১১৯টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন হয়েছে। ঢাকা শহরের কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের সাধারণ ৪ হাজার ৭৩৬টি শয্যার মধ্যে খালি রয়েছে ৩ হাজার ৪৫৫টি। আইসিইউ ডেডিকেটেড মোট ৭৭৮ শয্যার মধ্যে খালি ৬৩৯টি।