দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ও প্রফেসর ইউনূসকে নেতিবাচকভাবে বিশ্বে তুলে ধরতে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বড় ষড়যন্ত্র হচ্ছে, এতে জড়িত রয়েছে ভারতের মিডিয়া।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে দ্রোহের গ্রাফিতি চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, এ কাজে জড়িত রয়েছে ভারতের মিডিয়া। এ সময় দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকতে হবে। যে যেখানে আছেন সবাই শান্ত থাকুন।
ফ্যাসিস্ট সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, স্বৈরাচার সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। পতিত সরকার যাতে মাথা চাড়া দিতে না পারে গ্রাফিতির মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দিতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তথ্য উপাত্তের অভাবে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময়ে দুবছরের শিশু থেকে শুরু করে বিরোধীরাও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
এ সময় হুঁশিয়ার করে সরকারের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশে আর কোনোদিনই যেন আওয়ামী স্বৈরাচার ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা ফিরতে না পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রতিবিপ্লব উঁকিঝুঁকি মারছে। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না।
দেশে গণতন্ত্রের বিকাশের পরিবেশ তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সমালোচনা করবো সফলতার জন্য। কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারকে ব্যর্থ হতে দেবো না। এখন সরকারের সমালোচনা করলে গুম হতে হবে- এমন ভয় থেকে মুক্তি মিলেছে।
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের মিডিয়ার বিরূপ প্রচারণা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, বাংলাদেশের ভালো কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না ভারত। তাদের মিডিয়া শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে যেভাবে কথা বলছে, সেটা একটা গণতান্ত্রিক দেশের ভাষা হতে পারে না।
প্রতিবিপ্লব সব সময় উঁকিঝুঁকি মারছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তবে সেটা হতে দেয়া হবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে বিপ্লব ও গণতন্ত্রের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করতে হবে।