ওপেনিংয়ে নেমে ঝড় তুললেন রনি তালুকদার। অন্য প্রান্তে দেখেশুনে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ব্যাট চালিয়েছেন বাবর আজম। শেষ দিকে ছোটখাটো ক্যামিও ইনিংস খেললেন মোহাম্মদ নবি। তবে সব ছাপিয়ে রংপুর রাইডার্স শিবিরের জন্য সবচেয়ে স্বস্তির খবর হতে পারে দলের আইকন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের রানে ফেরা।
গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮২ রানের ইনিংসের পর থেকেই যেন ব্যাটার সাকিবকে ভুলতে বসেছিল সবাই। আজ আবারও দুই অঙ্ক পেরোলেন তিনি। ৩৪ রানের ইনিংসে বড় শটও খেললেন বেশ কয়েকটি। তিন ক্রিকেটারের ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংসে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ৪ উইকেটে ১৭৫ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে রংপুর।
এদিন টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে নুরুল হাসান সোহানের দল। দুই ওপেনার রনি তালুকদার আর বাবর আজমের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় দলটি। পাওয়ারপ্লে শেষ করে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫০ রানে। উদ্বোধনী জুটি ভাঙে দলীয় ৬৭ রানের মাথায় রনির বিদায়ে। আরাফাত সানির বলে এলবিডব্লিউ হন টাইগার এই ওপেনার। ছয় চার ও এক ছক্কার মারে ২৪ বলে ৩৯ রান করেন তিনি।
দলের হয়ে ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে আসেন সাকিব। শুরু থেকেই মিরপুরের গ্যালারি থেকে তাকে সমর্থন জানিয়েছেন দর্শকরা। আর সাকিবও এদিন বেশ সাবলীলভাবেই খেলেন। শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন ঢাকার বোলারদের।
বাবর আজমের সঙ্গে বেশ একটা ভালো জুটিও গড়ে তুলেছিলেন তিনি। তবে বাবর ৪৩ বলে ৪৭ করে আউট হওয়ার পর ফিরে যান সাকিবও। ৩ ছক্কার সঙ্গে ১ চারে ২০ বলে ৩৪ রান করে বিদায় নেন সাকিব। চলতি বিপিএলে এটাই তার সর্বোচ্চ রান। চোখের সমস্যার আগে এর কয়েকটি ম্যাচে ব্যাটই করেননি টাইগার এই অধিনায়ক।
চলতি আসরে এর আগে দুই ম্যাচে করেছিলেন শূন্য রান। গত ম্যাচে আউট হয়েছেন গোল্ডেন ডাক মেরে। সেসব পার করে আজ খেলেছেন চোখে পড়ার মত এক ইনিংস। ওয়ানডে মেজাজে দেখেশুনে খেলেছেন। এরপর সুযোগ পেয়ে চড়াও হয়েছেন ঢাকার বোলারদের ওপর।
শেষ দিকে অধিনায়ক সোহানকে সঙ্গে নিয়ে ছোটখাটো ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন মোহাম্মদ নবি। তিন ছয়ের মারে ১৬ বলে ২৯ রান করেন আফগান এই অলরাউন্ডার। ঢাকার বোলিং বিভাগে আজ সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মোসাদ্দেক। চার ওভার বল করে ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন। আর খরুচে ছিলেন তাসকিন ও শরিফুলরা।