ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ব্যস্ততার জন্য ঢাকাবাসী পরিবার-পরিজনকে সময় দিতে পারত না। নির্দিষ্ট সময়ে দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় এখন ঢাকাবাসী পরিবারকে সুন্দর সময় উপহার দিতে পারবে।
বুধবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর আজিমপুরে পথচারী পারাপার সেতু উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা রাজধানীবাসীর জন্য যে সময়সূচি নির্ধারণ করে দিয়েছি, তা খুবই সমাদৃত হয়েছে। তারা উপলব্ধি করতে পেরেছে এই শহরেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। যেকোনো কিছুরই সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন আছে। সে জন্যই আমরা রাত ৮টার মধ্যে বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত দিয়েছি।
তাপস বলেন, পূর্বে সবার ইচ্ছামতো দোকানপাট বন্ধ করত, এ কারণে ব্যস্ততায় ঢাকাবাসী তাদের পরিবার-পরিজনকে সময় দিতে পারত না। এখন নির্দিষ্ট সময় দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় ঢাকাবাসী তাদের পরিবারকে সুন্দর সময় উপহার দিতে পারবে।
মেয়র তাপস বলেন, রাত ৮টার মধ্যে বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাবে। আর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আমরা আলাদা আলাদা সময়সূচি নির্ধারণ করে দিয়েছি। তবে হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট যেসব ওষুধের দোকান নিয়ে কথা হচ্ছে, তা আমরা পর্যালোচনা করব। আবেদনের প্রেক্ষিতে ও প্রয়োজনীয়তা অনুসারে এসব ওষুধের দোকানের সময়সীমা পর্যালোচনা ও পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে।
এর আগে, গত ২২ আগস্ট (সোমবার) এক গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। রাজধানীকে একটি নির্দিষ্ট সময়সূচির আওতায় আনতে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে কোন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কখন বন্ধ থাকবে তার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে রাত ৮টার পর দোকান, শপিং মল, মার্কেট, বিপনীবিতান, কাঁচাবাজার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্ত মোতাবেক, ডিএসসিসি এলাকার সকল দোকানপাট, শপিং মল, মার্কেট ও বিপনীবিতান রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। কাঁচাবাজার, ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা, সব ধরনের রেস্তোরাঁ ও খাবার দোকানের রান্নাঘর রাত ১০টার মধ্যে বন্ধ কতে হবে, তবে খাবার সরবরাহ করা যাবে ১১টা পর্যন্ত।
এ ছাড়া চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহসহ চিত্ত-বিনোদনমূলক প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনা রাত ১১টা পর্যন্ত, সাধারণ ওষুধের দোকান রাত ১২টা পর্যন্ত এবং হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত নিজস্ব ওষুধের দোকান রাত ২টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
আগামীকাল ১ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।