বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে সরকার গঠন হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ঢাকার আশপাশসহ চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা শহরের বৈদ্যুতিক তার আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডি ৩ নং রোডে ডিপিডিসির জিটুজি প্রকল্পের ভূ-গর্ভস্থ বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার চলমান কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধানমন্ডি ৩ নম্বর রোডের সব তার সরিয়ে ফেলা হয়েছে, এটা এখন মাটির নিচ দিয়ে চলে গেছে। প্রকল্পটি ৪ বছর আগে গ্রহণ করা হয়েছিল।নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের যে লক্ষ্যমাত্রা, তা এর মাধ্যমে শুরু করা হলো।
তিনি বলেন, আন্ডারগ্রাউন্ড করার ফলে লোড নিয়ে কাজ করা যায়, লোড কন্ট্রোল করা যায়, সর্বোপরি গ্রাহকসেবার মান উন্নত হয়। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য পুরো ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোকে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলে নিয়ে যাওয়া। এরইমধ্যে সে পরিকল্পনা করা হয়ে গেছে। কোভিডের কারণে আমরা পিছিয়ে গিয়েছিলাম, তাই এখন দ্রুতগতিতে সব সম্পন্ন করতে হচ্ছে।
নসরুল হামিদ বলেন, তারের জন্য গাছ কাটতে হতো, ঝড়ে তার ছিঁড়ে যেত। ফলে বিভিন্ন স্থানে কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকতো না। তবে তার আন্ডারগ্রাউন্ড করার ফলে সেসবের আর আশঙ্কা নেই, এতে করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের তার আন্ডারগ্রাউন্ড হলেও ক্যাবল টিভি ও ইন্টারনেটের তারগুলো আন্ডারগ্রাউন্ড হয়নি। আমরা সংশ্লিষ্টদের বলেছি দ্রুত যেন তারাও আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যায়। এতে করে শহরের সৌন্দর্য বাড়বে।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ধানমন্ডি এলাকার ৩৪টি রোডের ওভারহেড বিতরণ লাইন আন্ডারগ্রাউন্ড লাইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। এই এলাকার বর্তমানে বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ৩০ মেগাওয়াট। আগামী ২৫ বছরের লোড গ্রোথ বিবেচনায় এই এলাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ডিজাইন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এরইমধ্যে ৮টি রাস্তার আন্ডারগ্রাউন্ড লাইনে রূপান্তরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং ১১টি রাস্তার আন্ডার লাইনে রূপান্তরের কাজ চলমান আছে।আশা করছি আগামী বছরের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শতভাগ বাস্তবায়ন হবে।