বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ বুধবার রিট আবেদনকারী আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হকের উদ্দেশে এ কথা বলেন।
আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘আইনের বিধান বাস্তবায়ন করেন। বিধান হলো, অভিযোগ দুদককে জানাতে হবে। দুদকে আবেদন দিয়ে আসেন। দুদক পদক্ষেপ না নিলে, চাইলে আবেদন নিয়ে আসতে পারেন।’
এরপর আদালত রিটের শুনানি ২১ আগস্ট পর্যন্ত স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) করেন। ‘ঢাকায় ওসির আটতলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ’ শিরোনামে ৫ আগস্ট প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়।
প্রতিবেদনটি যুক্ত করে ওসি মনিরুলের বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে আজ বুধবার রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানিতে অংশ নেন। দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন ও ওসির পক্ষে আইনজীবী মাহবুব শফিক শুনানিতে ছিলেন।
রিটে ওসি মনিরুলের বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ তদন্তের জন্য দুদকের প্রতি নির্দেশনা দেওয়ার আরজি জানানো হয়েছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় আটতলা বাড়ি করেছেন। বানাচ্ছেন আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে তাঁর রয়েছে চারটি প্লট। বাড়ি, প্লটসহ এই বিপুল সম্পদের মালিক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম। রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
রাজধানীর রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের রাজধানীতে আটতলা বাড়িসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদের বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চেয়ে রিট করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বুধবার (১০ আগস্ট) এ রিট করেন।
তখন আদালত বলেন, এ বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য আগে দুদকের আছে আবেদন করেন। আমরা ২১ আগস্ট পর্যন্ত রিট আবেদনটি স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখেন। এ সময় আদালতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও ওসি মনিরুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী মাহবুব শফিক উপস্থিত ছিলেন।
আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব,পুলিশের মহাপরিদর্শক, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, রমনার ওসি মনিরুল ইসলামকে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে, সোমবার (৮ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এরপর আদালত এ বিষয়ে তদন্ত চেয়ে রিট করতে বলে।
৫ আগস্ট (শুক্রবার) দৈনিক ‘প্রথম আলো’ পত্রিকায় ‘ঢাকায় ওসির আটতলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় আটতলা বাড়ি করেছেন। বানাচ্ছেন আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে তাঁর রয়েছে চারটি প্লট। বাড়ি, প্লটসহ এই বিপুল সম্পদের মালিক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।