বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করল মিসরের জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন ইজিপ্ট এয়ার। এর মধ্যে দিয়ে ঢাকা ও কায়রোর মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ শুরু হলো। প্রতি রবি ও বুধবার ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালন করবে এয়ারলাইনটি।
রোববার (১৪ মে) সন্ধ্যায় মিসরের জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইনের উদ্বোধনী ফ্লাইট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ৫০ জন যাত্রী নিয়ে বোয়িং ৭৮৭-৯ উড়োজাহাজ ঢাকায় আসে। জলকামানে ওয়াটার স্যালুটের মাধ্যমে উদ্বোধনী ফ্লাইটটিকে বিমানবন্দরে বরণ করে নেওয়া হয়। ১৭৯ জন যাত্রী নিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফিরত ফ্লাইট মিসরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে।
উদ্বোধনী ফ্লাইট বিমানবন্দরে বর্ণাঢ্য আয়োজন করে এয়ারলাইনটি। অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এয়ারলাইনটিকে বাংলাদেশ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ধন্যবাদ জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ-মিশর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সত্যিকার অর্থেই এটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি আকাশ যোগাযোগ স্থাপনের ফলে উভয় দেশের পর্যটন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রাণ সঞ্চার হবে। বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে একটি আঞ্চলিক হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এই কারণে আমরা অন্যান্য বিদেশি এয়ারলাইনগুলোকে বাংলাদেশে ফ্লাইট চালু করতে উৎসাহিত করছি।’
অনুষ্ঠানে ইজিপ্ট এয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইহাব আল তাহতাওয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ ফ্লাইট শুরু করতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। আমাদের জন্য বাংলাদেশের এভিয়েশন খাত অনেক সম্ভাবনা পূর্ণ। আমি আশা করি, বাংলাদেশি যাত্রীরা ফ্লাইটে এবং গ্রাউন্ডে আমাদের বিশ্ব মানের সেবা উপভোগ করবেন।’
ইজিপ্ট-এয়ার-০২ ৫০ জন যাত্রী নিয়ে বোয়িং ৭৮৭-৯ উড়োজাহাজ ঢাকায় আসে
বাংলাদেশে ইজিপ্ট এয়ারের জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) আলো ঢাকা এভিয়েশন। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আলী সামী বলেন, ‘সপ্তাহে দুটি পরিচালিত হবে ঢাকা ও কায়রোর রুটে। মিশরে বাংলাদেশিরা ব্যবসা, কাজ ও শিক্ষার জন্য ভ্রমণ করেন। তারা এখন সরাসরি বাংলাদেশ আসতে পারবেন। এছাড়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া এবং আমেরিকা থেকেও ঢাকায় আসার সুযোগ বৃদ্ধি হবে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা-কায়রো-ঢাকা রুটে সপ্তাহে দুই দিন রবিবার এবং বুধবার নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালিত হবে। ফ্লাইট পরিচালনায় ব্যবহৃত হবে সুপরিসর বোয়িং ৭৮৭-৯ উড়োজাহাজ, যার ইকোনমি শ্রেণিতে ২৭৯টি এবং বিজনেস শ্রেণিতে ৩০টি যাত্রী আসন থাকবে।’