শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। সড়কের পাশেই চলছে যাত্রী ওঠানামা। এমন কি পুলিশ বক্সের সামনে গড়ে উঠেছে অটোরিকশা স্ট্যান্ড। অভিযোগ রয়েছে মাসিক ভিত্তিতে টাকা দিয়েই চলে এসব অটোরিকশা।
হাজী হাফিজ উদ্দিন, সাথে কথা বলতে জানা যায় জনবহুল শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকা শ্রীপুরে মাওনা চৌরাস্তা ব্যবসায়ী কেন্দ্র । সড়কে মহাসড়কে যানবাহনের ছোটাছুটি। এই ব্যস্ত নগরীর দুই মহাসড়কে দাপিয়ে চলছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও ফুটপাত সহ রাস্তার দুই পাশে দখল করে রাখে । কখনও স্বল্প ও দূরপাল্লার পরিবহনের সঙ্গেও পাল্লা দেয়ার চেষ্টা জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে।
সড়কে নিয়মিত চলাচল করা পরিবহন চালকরা বলছেন, দুর্ঘটনার বড় কারণ মহাসড়কে ৩ চাকার যান। এ অবস্থায় অবৈধ অটোরিকশা চলাচল বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি যাত্রীদের।
দুর পাল্ল পরিবহন চালকরাদুলাল মিয়া বলেন, অটোরিকশা এক প্রকার অত্যাচার শুরু করছে। ওদের জন্য আমরা গাড়ি চালাইতে পারি না। তারা লোকাল রাস্তায় চলাচল করলে আমাদের সমস্যা হয় । কিন্তু মহাসড়কে চললে খুব সমস্যা হয়। তারা গাড়ি চালানোর বিষয়ে নূন্যতম জ্ঞান রাখে না।
শ্রীপুরে মাওনা চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ডের পুলিশ বক্সের সামনেই অটোরিকশার স্টোপেজ। যত্রতত্রভাবে চলছে যাত্রী ওঠানামা। অভিযোগ আছে, পুলিশকে নিয়মিত মাসোহারা দেয়ায় দিনকে দিন বেড়েই চলেছে অবৈধ অটোরিকশার দাপট।
অটোরিকশা চালকরা বলেন, কিছু অটো চালকের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা প্রতি মাসে মাসু হারা দিয়ে চালাচ্ছে গাড়ি । ধরলে ২৬০০ টাকা জরিমানা দিয়া গাড়ি ছাড়াইতে হয়। আশেপাশে চালাইলে আমাদের তেমন ইনকাম হয় না। তাই মহাসড়কে চালাই।
এদিকে মাসোহারার অভিযোগ অঙ্গীকার করেন হাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জানান,মাহবুব মোর্শেদ একাধিক ভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তারপর ব্যাটারি গাড়ি চালাচ্ছি ।পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা নিচ্ছে, অস্বীকার করেছেন, কোন ধরনের টাকা পয়সা নেওয়া হয় না মিথ্যা ভিত্তিহীন।
তবে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান, হাইওয়ে গাজীপুর রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জানান ব্যাটারি চালিত অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।