প্রথমবারের মতো বলিউডের ‘খুফিয়া’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন। এই সিনেমায় বাঁধনের অভিনয় যেমন প্রশংসা কুড়িয়েছে, তেমনি সমালোচনাও সৃষ্টি করেছে
সিনেমায় বাঁধনকে একজন সমকামী হিসেবে দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশের পরিবার, সমাজ ও সামাজিক মূল্যবোধ অনুযায়ী এ চরিত্রটি তাই হয়ে পড়েছে প্রশ্নবিদ্ধ। পর্দায় টাবুর সঙ্গে বাঁধনের সমকামিতা নিয়েও আলোচনা-সমালোচনা চলেছে সমানতালে।
বিষয়টি চোখে পড়েছে দেশের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বন্যা মির্জার। তিনি বরংচ বাঁধনের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। সেইসঙ্গে পর্দায় নিজের শুরুর দিকের অভিজ্ঞতা জানিয়ে এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
যেখানে বন্যা লিখেছেন,ভাই রে! প্রেম কেবল নারীর সাথে পুরুষের হবে এটা হলো পুরুষের ভাবনা। সব কিছুই পুরুষদের পেতে হবে! আর সমকামিতাও একটা কোন বিশেষ বিষয় না। তারও হাজার রকম আছে। শিখছেন একটা শব্দ, ওটা নিয়ে বসে আছেন! জগতে কত রকম জেন্ডার আছে। তাহলে সকলের আলাদা ভাবনাও আছে। এটাই তো স্বাভাবিক বিষয়! একটা গল্প বলি নিজের অভিজ্ঞতা…
আমি যখন একজন ‘পতিতা’র চরিত্র করি, তখন ‘পতিতা’ চরিত্র কেউ করতে চাইতেন না। ফলে আমার কাছে আসতো, আর আমি করতাম। এইডস রোগের নামও তখন নতুন শুনছি আমরা। তো গল্পের সেই পতিতার আবার এইডস হলো। বিষয়বস্তু মোটামুটি এরকম।
আমার কলিগরা তো বললেনই এরকম চরিত্র করা আমার ঠিক হয়নি। এমনকি আমার তৎকালীন বয়ফ্রেন্ডও মোটামুটি ধরেই নিলেন যে আমারই এইডস হয়েছে! গালি তো দিলেনই, নোংরা কথায় নানান রকম খোঁটা দিতে থাকলেন। আমি নাকি বেশি স্মার্ট হয়ে গেছি। নাটকের নাম “খণ্ড- ৎ”। নজরুল কোরেশীর পরিচালনা। তারপর “রোদ মেখো সূর্যমূখী”, মাসুদ হাসান উজ্জ্বল পরিচালিত। এখানে আবার ‘পতিতা’কে দেখানো হয় প্রেগনেন্ট অবস্থা থেকে। সেই ‘পতিতা’ নিজেই নিজের বাচ্চা প্রসব করায়, নিজের নাড়ি কাটে, বাচ্চা বের করে। পুরা দৃশ্যটাই নাটকে দেখানো হয়। তারপর তো আরো অনেক নাটক করেছি।
পরে দেখলাম, আর যাই হোক “পতিতা” চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা হতে কত জরুরী! এবং অনেকেই করলেন। গোলাপী ফিতা আর গোলাপী লিপস্টিক দেওয়া অভিনয় দেখলাম! ভাই রে!!!! পতিতাও একরকমের জীবন বা পেশা না যে গোলাপী ফিতা দিয়েই সারবেন! তো, আমার মনে হচ্ছে, কদিন পরে আপনারাই ঝাঁপিয়ে পড়বেন সমকামী চরিত্র করার জন্য- যাতে আপনাদের সু-অভিনেতা বলা হয়। তখন বাঁধনকে কিছু একটা ক্রেডিট দিয়েন। এখন বরং চুপ থাকেন!