1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন

তথ্য- প্রযুক্তিতে আমরা আসলে কতটা নিরাপদ!!!

কোহিনুর সুলতানা মিতু
  • আপডেট : শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে আমরা অনেক ধাপ এগিয়ে গেছি।কিন্তু তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির দক্ষতাকে ভুল পথে পরিচালিত করলে ব্যক্তিগত , সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় যেকোনাে ধরনের বড় অপকর্ম সংঘটিত হতে পারে ।সে ব্যাপারগুলো আমাদের কতটুকু জানা?

ইন্টারনেট আসক্তির কারণে যেসব ক্ষতিকর প্রভাব পরিলক্ষিত হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – সামাজিক দক্ষতা হ্রাস পাওয়া, সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা কমে যাওয়া, সমস্যা সমাধান করার ক্ষমতা কমে যাওয়া,ভালো বন্ধু-বানন্ধবের সংখ্যা কমে যাওয়া, সামাজিক জীবন বাধাগ্রস্ত হওয়া, পেশাগত জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, সাইবার ক্রাইমে জড়িয়ে পড়া, বিপদে পড়া, জীবনের স্বাভাবিক রুটিন নষ্ট হয়ে যাওযা, শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়া ইত্যাদি।

তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমরা সবাই অনলাইন এর উপর নির্ভরশীল।আগে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কিংবা জরুরি জিনিস মনে রাখার জন্য আমরা ডায়েরি ব্যবহার করতাম কিন্তু আমরা এখন ফেইসবুক,ইমেইল,নোট প্যাড সহ নানা প্রযুক্তির সহযোগিতা নেই।এতে করে সাইবার ক্রাইম, নিজেদের গোপন তথ্য ফাঁস সহো আরো নানা জটিল সমস্যা সম্মুখীন হচ্ছে প্রযুক্তি সম্পর্কে নানা জানা সাধারণ মানুষ।

স্রোতে গাঁ ভাসিয়ে আমরা চলছি প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে।আমাদের প্রতিদিনকার ছবি ছাড়ছি ফেইসবুক এ।কোথায় কি করছি?কোথায় যাচ্ছি? কার সাথে যাচ্ছি? সকল আপডেট সাথে সাথে দিয়ে দেই সেখানে।এতে করে আমাদের সম্পর্কে বিশ্বের যে কোন জায়গা থেকে চাইলেই যে কেউ ডাটা সংগ্রহ করতে পারে।

আপনি কখন কোন ব্যাংকে যাচ্ছেন ছবি আপলোড করছেন,আপনি কি জানেন যেকোন সময় আপনার হাজার কোটি টাকার একাউন্টের ব্যালেন্স কয়েক সেকেন্ডে শূন্য হয়ে যেতে পারে!!এখন বলুন আমরাই কি দ্বায়ী নই আমাদের সর্বনাশের।

এক অভিভাবক প্রতিদিন তার সন্তানকে কখন স্কুলে নিচ্ছে,কখন আনছে সকল তথ্য শেয়ার করে ফেইসবুকে,একবার কি চিন্তা করছেন আপনার বাচ্চার অপহরণের কারণ কিন্তু আপনি নিজেই।আপনি নিজেই অপহরণকারীকে জানিয়ে দিচ্ছেন আপনার সন্তানকে কখন একা পাওয়া যাবে আর খুব সহজেই অপহরণ করা যাবে।

সম্প্রতি এআই নামক অ্যাপের কারণে একজন ব্যান্ড প্রমোটার,মডেলের ভিডিও ভাইরাল হয়।যদিও সেখনে তিনি ছিলেন না কিন্তু সেটা প্রমাণ হওয়ার আগেই প্রযুক্তির কল্যাণে ভিডিও ভাইরাল।নারীর প্রতি সহিংসতা ও অন্যায় নতুন কোনো ঘটনা নয়,এরই একটি নতুন রূপ হলো অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীদের ভিকটিমাইজ করার প্রক্রিয়া। বর্তমানে নারীরা যেমন পরিবার ও সমাজে অপরাধ ও অন্যায়ের শিকার হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি শিকার হচ্ছে অনলাইন মাধ্যমগুলোতে। কারণ ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সহজেই পরিচয় গোপন রেখে অপরাধ সংঘটন করা যায়।

কানামাছি,পুতুল খেলা আর বর্ণমালা শেখার সময়ে এখন বাচ্চারা আসক্ত হচ্ছে মোবাইল গেমে।বাড়ছে মোবাইল আসক্তি। কিছু বাচ্চা আছে যারা খাবারটাও খায় না মোবাইল ছাড়া।এখন বলুন বাচ্চারাতো বোঝে না,আপনার কষ্ট কমানোর জন্য আপনিই অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন নাতো সন্তানকে?

পরিসংখ্যান থেকে একটা বিষয়ে স্পষ্ট হওয়া গিয়েছে যে, ২০২০ সালে সবক্ষেত্রেই সাইবার ক্রাইমের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তার কারণ হিসেবে উঠে আসছে মূলত অনলাইন ফেসিলিটির ব্যাপক বৃদ্ধি।

তথ্য প্রযুক্তি আমাদের জীবন যাত্রার মান সহজ করছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।কিন্তু এর অপব্যবহারে জীবন হচ্ছে দূর্বিষহ। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে আগে নিজের থেকেই সচেতনতা শুরু করা উচিত।তথ্য প্রযুক্তির আইনের আওতায় আনতে হবে অপরাধের সাথে জড়িতদের  খুব দ্রুত।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি