সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফেরানো প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তারেক রহমানের শাস্তি কার্যকরে উপযুক্ত সময়ে যা যা করার সরকার সেটা করবে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফেরানো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা যুক্তরাজ্যে বৈধভাবে থাকে তাদের অনেকের পরিবার নিতে গিয়ে বেগ পোহাতে হয়। সেগুলো যেন সহজ হয় সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। যুক্তরাজ্যে অনেকে অবৈধভাবে আছেন, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। তারেক রহমান শাস্তিপ্রাপ্ত আসামি। আমাদের সরকার যে কোনো সাজাপ্রাপ্ত আসামির শাস্তি কার্যকর করতে চায়। উপযুক্ত সময়ে সরকার তার শাস্তি কার্যকর করার জন্য যা যা করার সেটা করবে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ককে আরও গভীর করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে বলে জানান হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমরা আইসিটি সেক্টর নিয়ে, সাইবার সিকিউরিটি সেক্টর নিয়ে এবং আমাদের মুদ্রাস্ফীতি হার কমানোর ব্যাপারে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্যাংক অব ইউকের মধ্যে সহযোগিতা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, টেক্স জিডিপি রেশিও’র সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জলবায়ু ইস্যুতে আমরা কাজ করেছি। সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়েও কথা হয়েছে।
মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার কথা বলেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার নিয়ে সে রকম বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। মানবাধিকার সবার জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়; যুক্তরাজ্য, যুক্তরাজ্য, ইইউ, বাংলাদেশ, এমনকি চীনের জন্যও এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সব দেশ মানবাধিকার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে। আমরা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করবো।