আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছে তালেবানরা। সেখানে এখন তালেবান সরকার প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া চলছে। সারাবিশ্ব যখন এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন, উৎকণ্ঠিত ঠিক সেই সময়ে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল তালেবানদের সমর্থন জানিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধান প্রধান কোন রাজনৈতিক দলই এখন পর্যন্ত তালেবানদের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি। আকারে-ইঙ্গিতে বিএনপি এই তালেবানদের বিজয়ে চাপা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে কার্পণ্য করেনি। অন্যান্য ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো তালেবানের আফগানিস্তান দখলে খুশি কিন্তু তারা প্রকাশ্যে কোন বিবৃতি দেয়নি। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামীই প্রথম রাজনৈতিক দল যারা তালেবানদের এই বিজয়ের পর দলের মধ্যে একটি মূল্যায়ন পরিচয়পত্র বিলি করেছে। সেই মূল্যায়ন পরিপত্রে তারা তালেবানদের এই বিজয়কে ঐতিহাসিক এবং ইসলামের একটি বিজয় বলে উল্লেখ করেছে। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের দল। এই দলটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের পর তাদের ভূমিকার জন্য তারা ক্ষমাপ্রার্থনা করেনি। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সবসময় চ্যালেঞ্জ জানায়। এই রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতা যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত হয়েছেন। আর এখন স্বাধীনতাবিরোধী অপতৎপরতার পাশাপাশি এরা জঙ্গিবাদকে লালন করে। জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের করতে চায়। জামায়াতে ইসলামীর কর্মকাণ্ড এখন সীমিত। প্রকাশ্য কর্মকাণ্ডের চেয়ে গোপন কর্মকাণ্ডে জামায়াত বেশি সময় ব্যয় করে। তবে জামায়াতের নেটওয়ার্ক অত্যন্ত শক্ত। তারা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত এবং তাদের গোপন বৈঠকগুলো এখনো অব্যাহত রেখেছে বলেই জানা যায়।