আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃতি লাভের আকাঙ্ক্ষাই তালেবানের একমাত্র ‘দুর্বল জায়গা’। এটি ব্যবহার করে সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে চাপের মুখে রাখা যেতে পারে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেছেন। খবর রয়টার্সের।
গুতেরেস সাংবাদিকদের জানান, গত সোমবার (১৬ আগস্ট) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তিনি তালেবানের এই ‘দুর্বলতার’ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। অর্থাৎ, দীর্ঘ ২০ বছর পর তালেবান ফের কাবুল দখলে নেওয়ার পরেরদিনই এ বিষয়ে আলোচনায় বসেছিল জাতিসংঘ।
সংস্থাটির প্রধান জানান, তিনি তালেবানের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত। তবে শর্ত হচ্ছে, এটি স্পষ্ট হতে হবে- তিনি কার সঙ্গে কী উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলবেন। এই মুহূর্তে কাবুলের জাতিসংঘ কর্মকর্তারা তালেবানের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখছে।
গুতেরেস বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য, নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্যের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া খুবই প্রয়োজন। তাহলেই বৈধতার স্বীকৃতির প্রতি তালেবানের যে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, তার সুবিধা নেওয়া যাবে।
তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখানো, কাবুল থেকে লোক সরানোর অনুমতি অব্যাহত রাখা ও আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের নিরাপদ আশ্রয় হওয়া প্রতিরোধে তালেবানকে মোকাবিলায় একটি অভিন্ন জোট প্রয়োজন।