আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বাগলানের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি জেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবানবিরোধীরা।
শুক্রবার তাদের হামলায় বানো, দেহ সালেহ ও পুল-ই-হিসার তালেবানের হাতছাড়া হয়। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের।
হামলায় তালেবানের ৩০ সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে বিরোধীরা; ২০ তালেবান যোদ্ধাকে আটক করার কথাও বলছে তারা।
এর আগে গত কয়েকদিন আফগানিস্তানের বিভিন্ন শহরে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পতাকা হাতে তালেবানবিরোধী বিক্ষোভ দেখা গেছে। কোথাও কোথাও বিক্ষোভকারীরা তালেবানের পতাকাও ছিঁড়ে ফেলেছে।
শুক্রবার তালেবানদের হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর জেলা তিনটির সরকারি ভবনগুলোতে তালেবানের সাদা রঙের পতাকা সরিয়ে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের তিন রঙা পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ছবিতে সরকারি ভবনগুলোতে লাল, সবুজ ও কালো রঙের পতাকা লাগানোর সময় উপস্থিতদের উল্লাস করতে দেখা গেছে।
শুক্রবার তালেবান যোদ্ধাদের ওপর হামলায় অংশ নেওয়া সাদেকুল্লাহ সুজা বলেন, ‘তালেবান যোদ্ধাদের সাঁজোয়া যান ছিল, কিন্তু মানুষজন তাদের দিকে সমানে পাথর ছুড়ে মেরেছে, তাদের ভাগিয়ে দিয়েছে। যতক্ষণ জীবিত আছি, ততক্ষণ তালেবান শাসন মেনে নেবো না আমরা।’
ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে, তালেবান বাহিনী এখন আগের তুলনায় অনেক শক্তিশালী। তাদের সামরিক দক্ষতা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত যে ৫ বছর তারা ক্ষমতায় ছিল, এখন তার চেয়েও অনেকগুণ বেশি।
চলতি মাসে মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে তারা কাবুলসহ আফগানিস্তানের অধিকাংশ প্রাদেশিক রাজধানী দখল করে নেয়।
আফগান সেনা ও পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রাঘারও এখন তালেবানের দখলে; সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বানানো বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র ও সাঁজোয়া যানও আছে।
বাগলানের ঘটনা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তালেবান কর্মকর্তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তালেবানপন্থি একটি অ্যাকউন্ট থেকে করা টুইটে হামলায় ১৫ তালেবান যোদ্ধা নিহত ও আরও ১৫ জন আহত বলে জানানো হয়েছে।
স্থানীয়দের ক্ষমা করে দেওয়ার পরও এমন হামলাকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলেও অভিহিত করেছে তারা।