1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২২ অপরাহ্ন

তালের শাঁসের চাহিদা বেড়েছে প্রচণ্ড গরমে

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩

দিনাজপুরের বিভিন্ন রাস্তার পাশে কিংবা হাট-বাজারে কচি তালের শাঁসের পসরা নিয়ে হাজির হয়েছেন অনেক ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী। তাদের কাছ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের তালের শাঁস কিনে খেতে দেখা গেছে। আবার অনেককেই পরিবারের জন্য ফলটির শাঁস কিনে নিচ্ছেন।

মৌসুমি বিক্রেতারা বিভিন্ন এলাকার গাছ থেকে অপরিপক্ক (কচি) তাল নিয়ে এসে বিক্রি করছেন। জ্যৈষ্ঠ মাসের এই অস্থির গরমে ক্রেতারা তালের শাঁস খেয়ে স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রচণ্ড গরমে চাহিদা বেড়েছে তালের শাঁসের।

রাস্তার পাশে, জমির আইলে কিংবা পুকুর পাড়ের চারপাশে কোনো রকম যত্ন ছাড়াই বেড়ে ওঠে তালগাছ। প্রকৃতির দান এই তালগাছ মানুষের নিঃস্বার্থভাবে উপকার করছে। প্রচণ্ড গরমে তালের পাখার শিতল বাতাস প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। যার প্রচলন গ্রাম-বাংলার সব জায়গাতেই দেখা যায়। আবার তালের গুড়, রস যার জুড়ি নেই। তেমনি তালের শাঁস গরমে স্বস্তি দেয়।

দিনাজপুর শহরের হাসপাতাল রোডে তালের শাঁস বিক্রেতা আব্দুর রহিম জানান, একটি তালের ভেতরে ৩/৪টি শাঁস থাকে। প্রতিটি শাঁস ৫-৮ টাকায় বিক্রি করি। এ থেকে ভালো আয় হয়।

বিরামপুর শহরের পূর্বপাড়া মোড়ে তাল শাঁস বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, তিনি তিলকপুর এলাকা থেকে অপরিপক্ক তাল নিয়ে এসেছেন। সেই তাল থেকে শাঁস বের করে প্রতিটি শাঁস ৭/৮টাকায় বিক্রি করছেন।

তাল শাঁস কিনতে আসা পূর্বপাড়ার ফারুক হোসেন বলেন, গ্রামঞ্চলে মৌসুমী ফল হিসেবে তালের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। দেশিও মৌসুমী ফলগুলোতে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ও ফরমালিন ব্যবহার করা হলেও তালে কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। তাই ফলটি যেমন স্বাস্থ্যকর, তেমনি মানবদেহের জন্য খুব উপকারী।

বিরামপুরের প্রবীণ চিকিৎসক ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, গরমের দিনে তাল শাঁস পানি শূন্যতা দূর করে। এতে বিভিন্ন ধরনের উপকারী ভিটামিন রয়েছে। তাল শাঁস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি ও মুখের রুচি বাড়ায়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি