প্রথমার্ধেই তিন পেনাল্টি, যার দুটি রিয়ালের, একটি সেল্টিকের। রিয়াল মাদ্রিদ পেনাল্টি থেকে দুই গোল আদায় করতে পারলেও ব্যর্থ হয় সেল্টিক। পেনাল্টির মতো ম্যাচ জয়েও ব্যর্থ হয় সেল্টিক। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৫-১ গোলে হেরেছে সেল্টিক। বড় এই জয়ের ফলে গ্রুপ সেরা হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর মঞ্চে উঠল কার্লো আনচেলত্তির দল।
বুধবার (২ নভেম্বর) ঘরের মাঠে ছয় মিনিটেই এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। পেনাল্টি থেকে স্পট কিক করে দলকে এগিয়ে নেন লুকা মদ্রিচ। ম্যাচের ১৯ মিনিটে নিজেদের দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম গোলের ন্যায় দ্বিতীয় গোলও আসে পেনাল্টি থেকে। নিখুঁত ফিনিশিংয়ে প্রতিপক্ষের গোলকিপারকে পরাস্ত করে দলকে ২-০ গোলে এগিয়ে নেন রদ্রিগো।
ম্যাচের ৩৩ মিনিটে এক গোল পরিশোধের সুযোগ পেয়েছিল সেল্টিক। ইয়োসিপ ইয়োরানোভিচের স্পট কিক ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দেন রিয়ালের গোলকিপার কোর্তোয়া। প্রথমার্ধের বাকি সময় আর কোন গোল করতে না পারলে ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সেল্টিক।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই আবারও গোলের দেখা পায় রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন আসেনসিও। ভালভেরদের আড়াআড়ি ক্রস থেকে দুর্দান্ত ফিনিশিং করে ম্যাচের ৬১ মিনিটে রিয়ালকে ৪-০ গোলে এগিয়ে নেন ভিনিসিউস।
নিজেদের পঞ্চম গোল পেতে রিয়ালকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের ৭১ মিনিটে বক্সের ঠিক উপর থেকে বুলেট গতির শটে গোলের খাতায় নাম তোলেন ভালভেরদে। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে সেল্টিক একটি গোল পরিশোধ করে।
উল্লেখ্য যে, প্রথম লেগে সেল্টিকের মাঠে ৩-০ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ।