ক্যারিয়ারে প্রায় এক যুগ স্পেনে কাটিয়ে দিয়েছে ইয়াসিন বোনো। অথচ এই গোলরক্ষক আলো কাড়তে পারেনি সেভাবে। নিজেকে বিশ্বের বুকে চেনানোর জন্য ফুটবল বিশ্বকাপের মঞ্চটাকেই বেছে নিয়েছেন মরক্কোর এই গোলরক্ষক।
যে স্পেনে খেলে খেলে বড় হয়েছেন। যে স্পেনের ক্লাবগুলোতে নিয়মিত গোলরক্ষকের দায়িত্ব পালন করে নিজেকে সিদ্ধহস্ত করেছেন। সেই স্পেনকেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় করে দিয়েছেন মরক্কোর এই গোলরক্ষক। কেবল একটি দুটি নয়, তিনটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে দিয়েছেন ইয়াসিন বোনো।
আর তাতে ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথমবারের মতো শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে মরক্কো। স্পেনের বিপক্ষে তিনটি পেনাল্টি ঠেকিয়েও অবশ্য আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না ইয়াসিন। বরং জানিয়েছেন, পেনাল্টি ঠেকাতে নিজের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি ভাগ্যকেই পাশে পেয়েছেন তিনি।
স্পেনকে বিদায় করিয়ে দেওয়ার নায়ক ইয়াসিন, দুর্দান্ত গোলকিপিংয়ের পুরস্কার হিসেবে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। সেখানেই গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘আপনারা তো পেনাল্টি সম্পর্কে জানেন, এটা আসলে কিছুটা অনুমান এবং কিছুটা ভাগ্যের সহায় লাগে।
আমরা জিতেছি, এটাই এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পুরো দলকে আমার টুপিখোলা অভিবাদন। তারা তাদের কাজটা ঠিকঠাক করেছে। এটা অবিশ্বাস্য।
১২০ মিনিট ধরে মনযোগ ধরে রাখা সহজ ছিল না। বিশেষ করে স্পেনের মতো দলের বিপক্ষে। যারা বল দখলে রেখে আক্রমণে উঠতে চায়।’মরক্কোর এই ৩১ বছর বয়সী গোলরক্ষক ২০১২ সালে স্পেনে পাড়ি জমান। সেখানে অ্যাতলেটিক মাদ্রিদের একাডেমিতে শেখার কাজটা বেশ ভালোভাবেই সেরেছেন ইয়াসিন। ক্লাবটির ‘বি’ দল থেকে ২০১৪ সালে এসে প্রথম মূল দলে জায়গা পান। যদিও মূল ক্লাবের হয়ে একবারও মাঠে নামা হয়নি তার।
কিন্তু নিজের আরও উন্নতি করার লক্ষ্যে বসে না থেকে জারাগোজাতে ধারে খেলতে যান ইয়াসিন। কেবল স্প্যানিশ ক্লাব জারাগোজা নয়, এরপর জিরোনা হয়ে এখনও সেভিয়াতে নিয়মিত হয়েছেন এই মরক্কোইয়ান গোলরক্ষক। ২০২০ সাল থেকে সেভিয়াতে খেলা ইয়াসিন দলটির প্রধান গোলরক্ষক হিসেবেই আছেন।
২০১৩ সাল থেকে মরক্কো জাতীয় দলের হয়েও এই দায়িত্ব সামলিয়ে আসছেন ইয়াসিন বোনো। জাতীয় দলের জার্সিতে খেলে ফেলেছেন ইতোমধ্যে ৪৯ ম্যাচ।