রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার গতি পরিবর্তনের ৩ বছর পরও নেয়া হয়নি নদী শাসনের উদ্যোগ। সমীক্ষার মধ্যেই আটকে আছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। শংকরদহ মৌজায় ২০ হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি রক্ষায় নিজেরাই অর্থ ও শ্রম দিয়ে নির্মাণ করছেন ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ।
২০১৮ সালের বর্ষায় উজানের ঢলে বিনবিনার চর ভেঙে মূলপ্রবাহ থেকে দুই কিলোমিটার উত্তরে নতুন আরও দুটি গতিপথে প্রবাহিত হয় তিস্তা। ফলে পুরো শংকরদহ মৌজাসহ লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের আশপাশের আরও কয়েকটি মৌজার অংশবিশেষ ভেঙেচুরে প্রবাহিত হয় তিস্তা। মহিপুরের শেখ হাসিনা সেতুর উত্তরে নতুন গতিপথে ঢলের মুখে ঝুঁকিতে ছোট দুটি ব্রিজ আর বিলীনের শঙ্কায় রংপুর-লালমনিরহাট সড়ক।
ঢল ও বর্ষার পানি নেমে গেলেও নতুন করে অনেকেই বাড়িঘর করতে পারেনি আর বালুময় জমিতে নিভে গেছে ফসলের আশা। বারবার আকুতি জানালেও সমস্যা সমাধান না হওয়ায় নিজেরাই গতর খাটিয়ে বা চাঁদা দিয়ে তৈরি করছেন বাঁধ। এতে অংশ নিচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত ২০ সহস্রাধিক পরিবার।
ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষের বাঁচার সংগ্রামে নৈতিক সমর্থন ও সামান্য হলেও সহায়তার হাত বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসক আসিব আহসান। গতবার তারা যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তখনও পাশে ছিলাম এখনো পাশে আছি। তাদের বাঁচানোর জন্য সবকিছু করা হবে।
সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সমীক্ষার মধ্যেই প্রায় ৩ বছর ধরে আটকে আছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, মূল নদীটি মূলত বামদিকে ছিল ৫ বা ১০ বছর পূর্বে। সে কারণে পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা ছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ করা সমীচীন হবে না।
আর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের নিজেদের তৈরি এই বাঁধে সহায়তা সমীচীন নয় বলে মনে করেন এ প্রকৌশলী।