ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে আবার লুটপাট শুরু হয়েছে বাড়ি-ঘর এবং শপিংমলে। এ ঘটনায় জব্দ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বন্দুক। খবর আরব নিউজের।
তুরস্কের ঐতিহাসিক শহর আন্তাকিয়ার পুরাতন বাজারের গলিতে এক মুদির দোকান থেকে মালামাল লুট করে নিয়ে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। এ সময় ওই দোকানদার লুট করে মালামাল নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে লোহার বার দিয়ে তাড়া করেন।
আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে লুটপাটকারীরা বাড়ি ঘর এবং শপিংমলের দরজা জানালা ভেঙে যা পাচ্ছে নিয়ে যাচ্ছেন। তারা মূলত ভূমিকম্পের ভয়াবহ পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে এ কাজ করছে।
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হাতায়ে পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সেখানে লুটপাটের ঘটনায় গোলাগুলিও হয়েছে। পুলিশ ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের কাছ থেকে ব্যাংক নোট, গহনা, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন এবং বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে।
পরিস্থিতি এমন অবস্থায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে অনেকে দোকান থেকে শিশু খাদ্য লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অনেকে আমাদের ঘর বাড়িতে ঢুকে সামনে যা পাচ্ছে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি লুটপাটের হাত থেকে আমাদের গাড়িও রক্ষা পাচ্ছে না।
গত সোমবারের ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি হতে পারে মনে করছেন জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণবিষয়ক সমন্বয়কারী মার্টিন গ্রিফিথস।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, তীব্র শীত ও তুষারপাতের কারণে ‘পরিস্থিতি ক্রমেই নাজুক ও ভয়ঙ্কর’ হয়ে উঠতে থাকায় জীবিতদের মধ্যে যারা গৃহহীন ও আশ্রয়হীন অবস্থায় আছেন তারা দ্বিতীয় আরেকটি বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারেন।
ডব্লিউএইচও’র ব্যবস্থাপক রবার্ট হোল্ডেন বলেছেন, বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে ভয়াবহ অবস্থায় বসবাস করছে। আশ্রয়, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন তারা। এ পরিস্থিতি আরেকটি বিপর্যয় ডেকে আনবে, যা ভূমিকম্পের চেয়েও আরও বেশি মানুষের ক্ষতি করবে।