স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কে ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। শুধু তুরস্কে ভূমিকম্পকবলিত ১০টি প্রদেশে আহত হয়েছেন ৭০ হাজারের বেশি মানুষ। এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। তাঁদের উদ্ধারে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
খবর বিবিসির।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তুরস্ক ও সিরিয়ার সরকারি সূত্র ও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গত সোমবার ভোরে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত তুরস্কে ১৭ হাজার ৬৭৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর সিরিয়ায় মারা গেছেন ৩ হাজার ৩৭৭ জন। ফলে দুই দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৫১।
তুরস্কে উদ্ধারকাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তীব্র ঠান্ডা, বৃষ্টি, যোগাযোগে বিপর্যয়সহ নানা সমস্যা। আশ্রয়, খাবার, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুতের অভাবে চরম দুর্দশায় রয়েছেন উপদ্রুত এলাকাগুলোর বেঁচে থাকা মানুষেরা। ফলে তাঁদের মধ্য থেকেও অনেকের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ভূমিকম্পে সিরিয়ায় হাসপাতালসহ হাজারো ভবন ধ্বসে পড়েছে। ইদলিব প্রদেশের বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত আজমারিন শহরে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্সের (হোয়াইট হেলমেটস) সদস্যরা
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশের কাছে ওষুধ ও খাদ্য সহায়তা চেয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান। এর আগে সেখানে উদ্ধারকারী দল পাঠায় বাংলাদেশ।
পাশের দেশ সিরিয়ার অবস্থা আরও খারাপ। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ সিরিয়ায়ও উদ্ধারকারী দল পাঠাতে চায় বাংলাদেশ। দেশটির ভূমিকম্পকবলিত এলাকাগুলো সরকার ও বিদ্রোহী-দুই পক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহায়তা পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে সহায়তা নিয়ে জাতিসংঘের ছয়টি ট্রাক তুরস্ক সীমান্ত পার হয়ে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে। এটি দেশটির উপদ্রুত অঞ্চলে পৌঁছানো প্রথম আন্তর্জাতিক সহায়তা।