ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। তাদের মধ্যে তুরস্কে লাশ উদ্ধার হয়েছে ২৪ হাজার ৬১৭টি আর সিরিয়ায় উদ্ধার হয়েছে ৪ হাজার ৫০০টি। এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ আটকে আছেন। আহত হয়েছেন প্রায় এক লাখ মানুষ।
গত সোমবারের ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকায় বিভিন্ন উদ্ধারকারী দল ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে হতাহত কিংবা জীবিতদের বের করে আনার জন্য উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে আহতের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে।
এদিকে, জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে, নিহতের সংখ্যা বর্তমান সংখ্যার দ্বিগুণ হতে পারে। অর্থাৎ ৫০ হাজার ছাড়াতে পারে প্রাণহানি।
ইতোমধ্যে তুরস্ককে সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন দেশ। তবে উদ্ধারকাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তীব্র ঠাণ্ডা, বৃষ্টি, যোগাযোগে বিপর্যয়সহ নানা সমস্যা। কখনো কখনো তাপমাত্রা নেমে আসছে হিমাঙ্কের নিচে। তীব্র শীত থেকে বাঁচতে আগুন পোহাচ্ছেন গৃহহীন মানুষেরা। আশ্রয়, খাবার, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুতের অভাবে চরম দুর্দশায় রয়েছেন উপদ্রুত এলাকাগুলোর বেঁচে থাকা মানুষেরা। ফলে তাদের মধ্য থেকেও অনেকের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
জাতিসংঘ বলেছে, ভূমিকম্পে সিরিয়ায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হতে পারে। এখন তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রায় ৯ লাখ লোকের জরুরি খাদ্যের (গরম খাবারের) প্রয়োজন রয়েছে।
সিরিয়ার সরকার তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত এলাকায় মানবিক সহায়তা বিতরণের অনুমোদন দিয়েছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান জানান, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দেশের ধ্বংসাত্মক ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কর্তৃপক্ষ এএফইডি জানিয়েছে, ৬ হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজিয়ান্তেপ শহর। ভূমিকম্পের পরে ১ হাজার ৭০০ আফটার শক রেকর্ড করা হয়েছে।
খবর আল-জাজিরা।