উত্তর ইরাকে অবকাশ যাপনের রিসোর্ট এলাকায় তুর্কির বিমান হামলায় আট পর্যটক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এ সময়ে আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।
বুধবার এ হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাগদাদে বিক্ষোভ করেছেন ইরাকিরা। খবর আল-আরাবিয়াহের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিশ অঞ্চলের জাখাও জেলার বারাক রিসোর্ট এলাকায় অন্তত চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে তুর্কিয়ে বাহিনী। জেলার মেয়র মুশির মোহাম্মদ এমন তথ্য দিয়েছেন।
তুর্কি দূতাবাসের বাইরে দাঁড়িয়ে হামলার নিন্দা জানিয়ে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। মোহাম্মদ আলী নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে বিমান হামলা করা হয়েছে। এতে নারী ও শিশুরাও নিহত হয়েছে। কেন একটি রিসোর্টে বিমান হামলা করা হয়েছে, তার জবাব চাই।
গ্রীষ্ম যখন চূড়ান্ত রূপ নেয়, তখন ইরাকের দিক্ষণাঞ্চল থেকে পর্যটকেরা কুর্দিশ অঞ্চলে অবকাশ যাপনে যান। কারণ সেখানকার আবহাওয়া অপেক্ষাকৃত শীতল থাকে। গরমের উত্তাপ থেকে বাঁচতে লোকজন কুর্দিস্থানে পাড়ি জমান।
উত্তরাঞ্চলীয় ইরাকে নিয়মিতই বিমান হামলা চালিয়ে আসছে তুরস্ক। নিষিদ্ধ কুর্দিশ ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে কখনো কখনো কমান্ডোও পাঠায় আঙ্কারা সরকার।
এক বিবৃতিতে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল-কাজিমি বলেন, আরেকবার ইরাকের নাগরিকদের জীবন, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে তুরস্কের সামরিক বাহিনী। এই নৃশংস হামলা বলে দিচ্ছে যে ইরাকের ভূখণ্ডে সামরিক অনুপ্রবেশ ও সাধারণ নাগরিকদের জীবনের জন্য ঝুঁকি তৈরি না করতে ইরাকের অব্যাহত অনুরোধকে গুরুত্ব দিচ্ছে না তুরস্ক।
তিনি বলেন, কাজেই আত্মরক্ষার ও আগ্রাসনকারীদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসার পরিপূর্ণ অধিকার ইরাকের আছে।
কিন্তু এই হামলা পিকেকে যোদ্ধারা চালিয়েছে বলে দাবি করছে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক জানিয়ে একটি বিবৃতিতে হামলায় যারা আহত হয়েছেন, তাদের দ্রুত সুস্থতাও কামনা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে তুরস্ক বলছে, বেসামরিক নাগরিক, অবকাঠামো, ঐতিহাসিক-সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত সম্পদ সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সংবেদনশীলতা অবলম্বন করেই অভিযান পরিচালনা করে তুরস্ক। সত্য প্রকাশে তুরস্ক কোনো কার্পণ্য করে না।