কোভিড-১৯ এর টিকা নেবেন না। এটাই ফাইনাল সিদ্ধান্ত বিশ্বের নাম্বার ওয়ান টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচের। যে কারণে বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে গিয়ে মেলবোর্নে বেশ ঝামেলায় পড়েছিলেন তিনি। তার ভিসা বাতিল করা হয়েছিলো দু’বার। পুলিশের হাতে আটকও হন। শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ে জয়ের পরও কর্তৃপক্ষের ভিসা বাতিল করে দেয়ার কারণে টুর্নামেন্ট না খেলেই ফিরে আসতে হয়েছিলো তাকে।
করোনার টিকা না নেয়ার কারণে আরও বেশ কিছু টুর্নামেন্টে খেলতে পারেননি নোভাক জকোভিচ। তবে, তার সামনে আশার দুয়ার খুলে যাচ্ছে এবার। টেনিসের বিশ্বকাপখ্যাত উইম্বলডন থেকে তুলে নেয়া হয়েছে করোনার টিকার বাধ্যবাধকতা। ফলে এই গ্র্যান্ডস্লামটিতে খেলতে আর বাধা নেই জকোভিচের সামনে।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে টিকা নেয়া ছিল বাধ্যতামূলক। উইম্বলডনের ক্ষেত্রে সেই বাধ্যবাধকতা থাকছে না। ফলে জোকারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম মঞ্চে ফেরা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
উইম্বলডন ওপেন টেনিস টুর্নামেন্টের আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যারা কোভিড-১৯ এর টিকা নেয়নি, তারাও এই অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাব টুর্নামেন্টে (উইম্বলডন) অংশ নিতে পারবে।
অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাবের প্রধান নির্বাহী স্যালি বোল্টন জানিয়েছেন, ‘ব্রিটেনে প্রবেশে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। টিকা না নেওয়া থাকলেও উইম্বলডনে খেলতে পারবেন টেনিস তারকারা।’
উইম্বলডন আয়োজকদের এই সিদ্ধান্তে স্বস্তিতে গতবার পুরুষদের সিঙ্গেলস চ্যাম্পিয়ন নোভাক জকোভিচ। উল্লেখ্য, ২৭ জুন থেকে শুরু হবে এবারের উইম্বলডন। স্যালি বোল্টন অবশ্য জানিয়েছেন, ‘বাধ্যতামূলক না হলেও আমরা সব অংশগ্রহণকারীকেই টিকা নেওয়ার বিষয়ে উৎসাহ দিতে চাই। যদিও এটা ঘাসের কোর্টের গ্র্যান্ড স্ল্যামে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো শর্ত নয়।’
টিকা না নেয়ার কারণে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নিতে না পারা নোভাক জকোভিচ পরবর্তীতে বিবিসে জানিয়েছিলেন যে, যেখানেই টিকার জন্য বাধ্যবাধকতা থাকবে, সেখান থেকেই তিনি স্বেচ্ছায় নাম প্রত্যাহার করে নিতে চান। অর্থ্যাৎ, তিনি খেলবেন না, তবুও টিকা গ্রহণ করবেন না।