ঢাকা: তৃতীয় ধাপে সারাদেশের ৬৩ পৌরসভায় শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে এ ভোটগ্রহণ।
এই ধাপের সবগুলো পৌরসভায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। অনিয়ম ঠেকাতে শনিবার সকালে নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান জানান, তৃতীয় ধাপে ৬৩টি পৌরসভায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মাঠে রয়েছে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। এই ধাপে ৩৭ জন জনপ্রতিনিধি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ধাপের নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। পাশাপাশি মেয়র পদে লড়ছেন বেশকিছু স্বতন্ত্র প্রার্থীও। এ ধাপে মোট ৩৭ জন জনপ্রতিনিধি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে ৩ জন মেয়র, ৯ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও ২৫ জন সাধারণ কাউন্সিলর রয়েছেন।
ইসি জানায়, চূড়ান্ত লড়াইয়ে রয়েছেন মোট ৩ হাজার ৩৪৪ জন প্রার্থী। এরমধ্যে মেয়র পদে ২২৯ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৫৫ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৩৬০ জন।
ইসি চতুর্থ ধাপে ৬৪টি পৌরসভায় নির্বাচনের তফসিল দিয়েছিল। ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভায় তৃতীয় ধাপে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও একজন মেয়র প্রার্থীর মৃত্যুতে এ নির্বাচন স্থগিত করে চতুর্থ ধাপে স্থানান্তর করা হয়েছে। ফলে তৃতীয় ধাপে ৬৩ পৌরসভায় নির্বাচন হবে।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, কুমিল্লার লাকসাম ও বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে একক প্রার্থী থাকায় তারা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ধাপে তিন পদে ৩৭ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এরআগে দ্বিতীয় ধাপে পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর একক প্রার্থী হওয়ায় মেয়র পদে চারজন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনী পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহলে রয়েছে। চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে ভোটের পরের দিন পর্যন্ত। সঙ্গে রয়েছে নির্বাহী ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।