বৈশাখ মাস শুরু হওয়ার আগেই যেভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে এবং গরম অনুভূত হচ্ছে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে এবছর গরমে বাড়ির বাইরে বের হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শুধু বাড়ির বাইরে নয়, বাড়ির ভিতরেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। তবে সানস্ক্রিন কেনার এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। একটু সতর্ক থাকলে আপনি নিজের জন্য একদম উপযুক্ত সানস্ক্রিন কিনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন।
শুধু প্রাপ্তবয়স্করা সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেই চলবে না। বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা প্রয়োজন। না হলে বাচ্চাদের ত্বকও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এক্ষেত্রে একটু বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বাচ্চার ত্বকের ধরন অনুযায়ী সানস্ক্রিন কিনতে হবে। এসপিএফের পরিমাণ দেখে নেওয়া প্রয়োজন। বাচ্চার ত্বক যদি সেনসিটিভ হয় তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সানস্ক্রিন লাগানোর সময় সামান্য পানি মিশিয়ে মাখলে ত্বক চিটচিটে হবে না। অর্থাৎ মুখে কালচে বা চিটচিটে ভাব দেখা যাবে না। আপনি যদি অতিরিক্ত ঘামেন, তাহলে ওয়াটার বেসড সানস্ক্রিন ব্যবহার করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আপনার ঘাম হলেও সানস্ক্রিন মাখলে কোনও অসুবিধা হবে না।
আজকাল জেল বেসড অনেক সানস্ক্রিন পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে আপনি এই জাতীয় সানস্ক্রিনও ব্যবহার করতে পারেন। একটু পরিচিত ব্র্যান্ডের সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ভালো। নিজের ত্বকের ধরন বুঝে সানস্ক্রিন কিনতে হবে আর তা ওয়াটার বেসড হলেই ভালো।
সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি অর্থাৎ আলট্রা ভায়োলেট রে থেকেও ত্বককে রক্ষা করে সানস্ক্রিন। তাই গরমকালে ত্বকের যত্নের জন্য সানস্ক্রিন খুবই প্রয়োজনীয়। প্রাপ্তবয়স্ক এবং বাচ্চা, উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রয়োজন এই সানস্ক্রিন। বাড়ির ভিতরেও যারা অনেকক্ষণ রান্নাঘরে থাকেন, তারা অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। মূলত সান ট্যান অর্থাৎ সূর্যের তেজ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে সানস্ক্রিন। নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ট্যান পড়ার সম্ভাবনা কমে। গরমকালে ত্বকের ক্ষেত্রে ট্যানের সমস্যাই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। ত্বক ভালো রাখার ক্ষেত্রে মুখ নিয়মিতভাবে পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন।
এক্ষেত্রে কাঁচা দুধ ব্যবহার করতে পারেন। ফ্রিজে সামান্য কাঁচা দুধ রেখে দিলে সেটা দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিলে সবচেয়ে ভালো ক্লেনজারের কাজ করে। এর পাশাপাশি ময়শ্চারাইজিং করাও প্রয়োজন। এর ফলে ত্বক আর্দ্র এবং মোলায়েম থাকবে।