দলের নেতা নির্বাচনে দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, যারা চিহ্নিত মাদকসেবক, মাদক ব্যবসায়ী, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চিহ্নিত ভূমিদস্যু, চিহ্নিত চাঁদাবাজ তাদের কোনো অবস্থায় দলের কোনো পর্যায়ের নেতৃত্বে রাখা যাবে না। বসন্তের কোকিল দুঃসময়ে থাকে না। বসন্তের কোকিলদের দিয়ে নেতা বানিয়ে লাভ নেই। দুঃসময়ের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। সুবিধাভোগীরা দুঃসময়ে এলে তখন তাদের হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও পাওয়া যাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে একথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ফরিদপুরে বহুদিন পরে সম্মেলন হচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে ফরিদপুরের রাজনীতিতে সাংগঠনিক অবস্থা, রাজনৈতিক অবস্থা, সুখকর নয়। অনেক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে গেছে। অনেক রক্তপাত হয়েছে। উপজেলা পর্যায়েও হয়েছে। ফরিদপুর শহরেও হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ করে কোটি কোটি টাকা পাচার করে, এরা কারা? এদের চিহ্নিত করতে হবে। নয়া নেতৃত্ব নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতারা আছেন, আপনারা দেখবেন এসব টাকা পাচারকারীদের পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে। যারা চিহ্নিত মাদকসেবক, মাদক ব্যবসায়ী, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চিহ্নিত ভূমিদস্যু, চিহ্নিত চাঁদাবাজ তাদের কোনো অবস্থায়, দলের কোনো পর্যায়ের নেতৃত্বে রাখা যাবে না।
কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে বলেন, যারা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের, শেখ হাসিনার নৌকার বিরোধিতা করেছে, মদদ দিয়েছে, তাদের বাইরে রেখে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করে সম্মেলন করতে হবে।