দীপক চন্দ্র দে:
প্রারম্ভে দেশের অধিকাংশ ভ‚মি অফিস গুলো নিয়ে বিশেষ করে উপজেলা অথবা ইউনিয়ন ভ‚মি অফিস গুলো নিয়ে একটা ওপেন ডিসকাস বা খোলাখুলি আলাপচারিতা করা যেতে পারে। জেলা- উপজেলা ভ‚মি অফিস নানারকম অনিয়ম আপাতত ডিলিট রাখললাম। সামনের দিনগুলোতে এনিয়ে লেখা যেতে পারে এবং লেখার অনেক পাত্ত-উপাত্ত রয়েছে। ব্যাপক জনশ্রæতি রয়েছে ভ‚মি অফিস মানেই একটা হাট বাজার। কেউ কিছু মনে করবেন না যে, আমি একটা সরকারি সেবা মূলক প্রতিষ্ঠানকে নেহায়েত হাট-বাজারের সাথে তুলনা করে অপরিনামদর্শীতা দেখালাম কীনা, বিনয়ের সাথে বলি না। আসলে ঘটনাটা অন্য এক জায়গায়,অন্য এক খানে। মনে করুন ঘটনাটিতে প্রাচীণ মহাভারতের নারদমুনি ও নারায়ণের ঘটনা প্রবাহের একটা সাদৃশ্য রয়েছে। এটা পরে এক সময় বলা যাবে। হাস্যরসে কৌতুক করে অধিকাংশ ময়মনসিংহবাসী প্রায়ই বলে থাকেন জেলা ভ‚মি অফিস যদি হয় বড় বাজার তাহলে উপজেলা ভ‚মি অফিস হবে ছোট বাজার আর ইউনিয়ন ভ‚মি অফিস হবে গ্রাম্য হাট বাজার। এর মানে কি ? সরকারি ভ‚মি অফিস গুলোকে কেন হাটবাজার বলে তুলনা করা হবে, আর কেনই বা এসব আমাদের শুনতে হবে ? ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে এসিল্যান্ড সহ সকল প্রশাসনিক অফিসারগণ অহর্ণিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ভ‚মি অফিস গুলো যেনো দৈনদশা মুক্ত হয়, স্মার্ট হয়। হয়রানি মুক্ত হয় সর্বোপরি দালান মুক্ত হয়ে একটা আধুনিক ভ‚মি অফিসে পরিণত হয়ে গৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। এই প্রচেষ্টা কি জেলা প্রশাসন করছেননা? এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলাটি বিভাগ হয়েছে, গুরুদায়িত্বে মাথার উপর রয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার,ভ‚মি অফিস গুলো যা ইচ্ছে তাই চলার সুযোগ কোথায়!,সবি তিনি নজরে রাখেন তা লোক মুখে শ্রæতি রয়েছে। ইদানীং ময়মনসিংহের সাধারণ মানুষ অবাক এবং ক্ষুব্ধ হয়ে একটা নতুন জিনিস দেখছেন। যা তাদেরকে দিশেহারা করে তুলছে। এই আপদটা হচ্ছে মোবাইল প্রযুক্তির আপদ। মোবাইলে অবশ্যই ক্যামেরা থাকে এবং এই ক্যামেরা সংযুক্ত মোবাইলের অপব্যবহারে অতিষ্ট হয়ে উঠছেন ভ‚মি অফিসের উর্ধতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে অধস্তন কর্মচারি পর্যন্ত। জানাগেছে ভ‚মি অফিসের এসিল্যান্ড মহোদয় নায়েব,সার্ভেয়ার,কানুন গো সহ সব কর্মচারীদের আশে-পাশে গোপন মোবাইল ক্যামেরা ঘুরঘুর করছে। গোপন ছবি তুলে অকারণে বলা হচ্ছে এবং সরাসরি বলা হচ্ছে টাকা ছাড়েন অন্যথায় ডিসি”র কাছে এই ছবি চলে যাবে। এমনো কিছু আছে কোননা কোন ক্লাবের নিজেদের পরিচয় কার্ড নিয়ে ভ‚মি অফিস গুলোকে জিম্মি করে রেখেছে, এবং কি ডিসি মহোদয় এর আশপাশ থেকে সুন্দর স¤পর্ক রেখে স্টাফদের সামনে ফোন আলাপ করে দেখিয়ে দিচ্ছেন ডিসি সাহেব সাথে তার কত স¤পর্ক ! আর এদিকে অফিসের ষ্টাফগন ক্রমাগত ঘামছেন। এই ভাবেই চলছে ভ‚মি অফিসের কর্মচারি কর্মকর্তাদের জিম্মি করে। ল¤পটদের অন্যের জমি খারিজ / খাজনা করিয়ে দেয়ার বানিজ্য টুপাইস কামানোর পন্থা। সরকারি সেবা মূলক প্রতিষ্ঠানকে নেহায়েত হাটবাজার করে ফেলেছে। এইটা কি বø্যাকমেইলিং নয় ? মানণীয় প্রধানমন্ত্রী হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন যারা অফিস আদালতে ঘুরে ঘুরে অফিসার কিংবা কর্মচারীদের সরকারি কাজে বাধার সৃষ্টি করে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিন (পড়ফব ঁহপড়ফব) । এরা কারা ? এই প্রশ্নটা ভুক্তভোগীদের মাঝে সার্বক্ষনিক ঘোরাফেরা করছে কারণ এরা যা করছে এটা আতঙ্কের পর্যায়ে চলে গেছে। পর্যবেক্ষক মহল বলছেন এই দালালদের আতঙ্ক দিন যতো যাবে ততোই বাড়বে। সুতরাং এই দালালদের দমন করার জন্য জেলা প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ জরুরি। এই লেখার রেশ ধরে এই বর্নণাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে একটি অনুসন্ধানি টিমের নিরবচ্ছিন্ন অনুসন্ধান এখন লিখছি। ঘটনাস্থল: কানিহারী ইউনিয়ন ভ‚মি অফিস ত্রিশাল ময়মনসিংহ। নাছিরীন সুলতানা ত্রিশালের কানিহারী ইউনিয়ন ভ‚মি অফিসে ভ‚মি সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে গত ১ অক্টোবর ২০২১ সনে যোগদান করেন এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে স্বাভাবিক কাজকর্ম করে যেতে থাকেন। কিন্তু তাকে হোঁচট খেতে হলো গত ৩১ অক্টোবর ২০২২ সনে। একটি অনলাইন ভার্সন যার উল্লেখ করা হয়েছে। সেই ভিডিও চিত্রে দেখতে পাওয়া যায় নাছরীন সুলতানা বলছেন কানিহারী মৌজার ৬৩১ নং হোল্ডিং ৬৪৩ নং খতিয়ানের অন্যজনের সাক‚ল্য ভ‚মির উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে উপস্থিত থাকতে হবে মূল ব্যাক্তিকে পরিস্কার বোঝা গেলো উল্লেখিত ভ‚মির কর দিতে এসেছিল দ্বিতীয় এক ব্যক্তি। এরপর দেখা গেলো ব্যাক্তিটি নাছরীন সুলতানাকে ৪০০০ টাকা দিচ্ছে এবং নাছরীন সুলতানা বলছেন পুরো টাকা অথাৎ ৯৫০০ টাকা কর হিসাব অনুযায়ী আসে। পরে তিনি বলছেন স¤পূর্ণ টাকা না দিয়ে আমার চাকরি খাবেন নাকি? ব্যক্তিটি তাকে প্রলোভিত করছে এবং দেখা যায় নাছরীন সুলতানা ক্ষুব্ধ হচ্ছেন,এবং তিনি যে সরকারের রাজস্ব আদায়ের ব্যাস্ত, তা পরিস্কার ফুটে উঠেছে ভিডিও ফুটেজটিতে। আর তার সামনে টেবিলের ড্রয়ারটিও খোলা, ঐ ড্রয়ারেই তিনি ভ‚মির কর এর টাকা রাখছেন এবং ভ‚মি মালিকদের কর দেয়ার শেষে অতিরিক্ত খুচরা টাকা ঐ ড্রয়ার হতেই ফেরত দিচ্ছেন। জানাগেল ভিডিও ফুটেজের যে টাকা তার হাতে দেখা গেছে সেই ৯৮১৩ টাকা আগের ভ‚মি উন্নয়ন কর এর টাকা যা ইতোমধ্যে সরকারি তহবিলে জমা হয়ে গেছে। তা হলে ভিডিওটি উঠালো কে ? অনুসন্ধানে জানা গেছে তৃতীয় এক ব্যক্তি যে. দালাল শ্রেণী হতে পারে অথবা ষড়যন্ত্রকারীরা এই কর্মটি কোন এক ফাঁকফোকর দিয়ে নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে করে ফেলেছে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে ইউনিয়ন ভ‚মি অফিস অনেকটাই গ্রাম্য হাটবাজারের ন্যায়। এখানে সাধুরও আগমন ঘটছে শয়তানও আসছে – যাচ্ছে। সন্ধানে আরও পাওয়া গেলো কানিহারী ভ‚মি অফিসের, বারইগাও মৌজার বি আর এস এর আওতায় দেখা গেছে সকল দাগের এস এ দাগ ছুট দেখানো হয়েছে। দাগ গুলোর সাবেক মৌজা সহ ছুট থাকায় নাছরীন সুলতানা যোগদানের পর থেকে তিনি আজ পর্যন্ত নামজারী ও জমা খারিজের প্রস্তাব সহ ভ‚মি উন্নয়ন কর আদায় করেননি। এনিয়ে একটি দালাল চক্র নাসরীন সুলতানাকে হুমকি দিয়ে বলে আসছে আগের ইউনিয়ন ভ‚মি কর্মকর্তারা জমা-খারিজের প্রস্তাব প্রদান সহ ভ‚মি উন্নয়ন কর আদায় করলে আপনি কেন পারেন না? পরবর্তীতে দালাল চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠলে নাসরীন সুলতানা বিষয়টি সহকারী কমিশনার ( ভ‚মি ) ত্রিশালকে লিখিত এবং মৌখিক ভাবে অবহিত করেন ও দিক নির্দেশনা চান। বিষয়টি ত্রিশাল সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) উর্ধতন কর্মকর্তাকে পত্র মারফত দিকনির্দেশনা চেয়ে অবহিত করেন। কিন্তু কোন দিক নির্দেশনা না আসায় নাসরীন সুলতানা ওই সকল দাগের ভ‚মি উন্নয়ন কর আদায় সহ সকল কার্য্যক্রম থেকে বিরত থাকেন। প্রবাদে আছে শীলে-পাটায় ঘসাঘসি মরিচের কাম শেষ। বলা বাহুল্য নাসরীন সুলতানার অবস্থা হয়েছে তদ্রæপ। সেই থেকে দালাল চক্র মরিয়া হয়ে উঠে এবং পাপ্পারাজিদের মত নাসরীন সুলতানার পিছু নেয়। সেই সাথে নাসরীন সুলতানার ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন এবং হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা অব্যাহত ভাবে চালিয়ে যায়। যার সর্বেশেষ প্রচেষ্টা ৩১ অক্টোবর ২০২২ এর ঘটনার অবতারণা। দালাল চক্রটির উদ্দেশ্য সফল হলো। দালাল চক্রটি ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে একাট্টা হয়ে প্রথমে অতি গোপনে ভিডিও ফুটেজ তুললো। পরে সেটা বিকৃত করলো। এরপর সমাজধিকৃতরা তথাকথিত সিনেমায় রুপ দিলো। এবং দর্শকদের দেখানোর জন্য নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে সেটা স¤প্রচার করে দিলো। তারা ভুলে গেলো নাসরীন সুলতানা একজন নারী চাকরিজীবী। তারও সমাজ সংসার পুত্র-কন্যা আছে। এমন একজন নারী চাকরিজীবিকে নিয়ে যদি ন্যূণতম ষড়যন্ত্রকারী দালাল চক্র সরকারি ভ‚মি অফিস নামক প্রতিষ্ঠানে এধরণের ন্যাক্কারজনক ঘৃর্ণিত অপতৎপরতা চালিয়েই যেতে থাকে তা হলে মুক্তির উপায় কি?
মানণীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে বলেছেন সরকারী অফিস সহ কোনো অফিসে যদি ঘুষের লেনদেন প্রমাণিত হয় তাহলে বুঝতে হবে ঘুষ নেয়া এবং দেয়াকারি উভয়ই অপরাধী। সেক্ষেত্রে কঠোর আইনের বিধান রয়েছে। (পড়ফব ঁহপড়ফব) ত্রিশালবাসী দেখেছেন কিছু দিন আগে নাসরীন সুলতানার পক্ষাবলম্বন করে ত্রিশালের পথে মানববন্ধন হয়েছে। সেখানে সাংবাদিকদের জবরদস্তি প্রশ্নের উত্তরে মানববন্ধনে হাজির নারী – পুরুষরা সৎ সাহস নিয়ে বলেছেন নাসরীন ম্যাডাম আমাদের কাজগুলি সুন্দরভাবে করে দিতেন, বুঝিনা বলে নিজ থেকেই অনেক কিছু বুঝিয়ে দিতেন, নাসরীন ম্যাডাম ভালো ছিলেন। তারা বলেছেন আমরা চাই তিনি যেনো এখান থেকে না যান ইত্যাদি ইত্যাদি। কানিহারি ত্রিশাল – ময়মনসিংহের সাধারণ মানুষের ভাষ্য আমরা ন্যূনতম ঘটনার প্রেক্ষিতে কোন নারী চাকরিজীবী চোখের জল ফেলুক এটা চাইনা যেখানে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ঘটনার আদ্যপান্তই সাজানো গোছানোর ষড়যন্ত্রের গন্ধ লেগে আছে অথবা দালাল চক্রের কারসাজি সেই সাথে ভুলে ভালে আবৃত। সেখানে যদি ধরেই নিই নাসরীন সুলতানা গুটিকয়েক টাকা ঘুষ খেয়েছেন তাহলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে শাস্তি দেয়া হলো অথচ যে ব্যাক্তিবর্গ ঘুষ দিলো তাদের কি কিছু হয়েছে ? তারা কি শাস্তি পেয়েছে ? জনমনে প্রশ্ন তাদের বিরুদ্ধে এখনো কেনো প্রশাসনের পক্ষ হতে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছেনা কেনো ? তাহলে কি মাণনীয় প্রধানমন্ত্রীর কথাটা সঠিক জায়গায় রইলো ? আর গোপন ক্যামেরাধারী ব্যাক্তিটির কি হবে? সে কি চিরায়ত ছেড়া জাল দিয়ে বেরিয়ে যাবে ? কথিত দলিল লেখক কি দালালী করেও নির্দোষ? দালাল শামিম তার অর্পকর্ম করে একজন সরকারী নারী কর্মকর্তার ভাবমুর্তি, সুনাম ক্ষুন্ন করে চাকরি হতে বরখাস্ত করিয়ে লোক চক্ষু হতে আড়ালে চলে যাবে? চুক্তিভিত্তিক চাকরি আউটসোর্সিং দেলোয়ার চাকরি না থাকলেও তিনি সরকারি অফিসের গোপন নথি চালাচালি কি করে করছেন ? আউটসোর্সিং দেলোয়ার নামে যে ছেলেটি এই সব দালালদের পাঠায় সবসময় সক্ষতা এবং রুবেল মিয়া, শামিম, বাবুল মিয়া,শহিদ মিয়া সহ আরো অনেকেই এদের মাধ্যমে দেলোয়ার সবসময় এই ধরনের দালালি কাজ করায়।এই দালালগুলো কাজ না করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে কি করে এই নারী ভ‚মি কর্মকর্তা বিরুদ্ধে অফিসে এসে যা-তা ব্যবহার করে ? এরাই গোপন ক্যামেরাধারী ব্যাক্তিটিকে দিয়ে প্রথমে অতি গোপনে ভিডিও ফুটেজ তুললো, পরে সেটা বিকৃত করলো এরপর সমাজধিকৃতরা তথাকথিত সিনেমায় রুপ দিলো। তবে, এটা দৃশ্যমান ভিডিও দেখে অবাকই হয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা ¯পষ্ট দিবালোকে ঘুষের টাকা নিয়ে কেউ এভাবে নাড়াচাড়া করে নাকি !? এমনটা কি আছে যে ঘুষের টাকা কম নিলে চাকরি থাকেনা !? অবাকই হওয়ার কথা, সত্য হলো এই যে তিনি রাজস্ব আদায় করতে গিয়ে করের টাকা কম পাওয়ায় তিনি বলেছিলেন, কম টাকা দিলে হবে কি করে আপনারা কি আমার চাকরিটা খাবেন নাকি? তা হলে বুঝতেই তো পারছেন আসল ঘটনা টি কি ঘটেছে!? তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। নারী চাকরিজীবির পূর্বের জায়গা অর্থাৎ চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়ন ভ‚মি অফিসে ২ বছর চাকরি করেন তিনি এবং চাকুরীকালীন সময়ে ভ‚মিহীনদের জন্য সর্বমোট ৭৪ টি ঘর প্রদান করা হয়। ঈদের দিনেও তিনি সারাদিন তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে ব্যাস্ত ছিলেন । তাই অনুসন্ধানে পাওয়া গেলো। এবংকি এই জায়গাগুলো ১ নং খতিয়ান ভুক্ত বাংলাদেশ সরকার পক্ষে জেলা প্রশাসকের নামের জমি।এই জমিগুলো প্রায় ১৬শ বছর যাবত মানুষের দখলে ছিল। এই জমিগুলো দখল করতে গিয়ে নারী চাকরিজীবির হাইজ্যাকের শিকার হন, সরজমিনে তদন্তে সত্যতা পাওয়া যাবে। এবং সিটির ভুমির খাজনা নিতে গিয়ে বিভিন্নভাবে দালালচক্রের মাধ্যমে হয়রানি হতে হয় ও দালালচক্র খুব সুকৌশলে কমিশনার প্যাডে তাকে অভিযোগ আনয়ন করা হয়। কাননগো তদন্তের মাধ্যমে যার সত্যতা প্রমাণিত নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ। পুনরায় মোদারপুর মৌজার শ্রীখাল বিল নামে প্রায় ০.১৭০০ একর ভ‚মি ১ নং খতিয়ানে অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকার জেলা প্রশাসকের নামে আছে এবং এই শ্রীখাল বিল উদ্ধারের জন্য প্রস্তুত নেয়া হলে কমিশনার প্যাডে তার নামে হয়রানির অভিযোগ উঠে।তৎক্ষনাত তাকে বদলি করা হয়,সঠিক তথ্য না জেনেই। প্রায় সবঘটনা এবং ইতিহাস এখানে উপস্থাপন করা হলো। যার শেষ বিচারটি করবেন উপরে স্রষ্টা নীচে বিচক্ষণ ময়মনসিংহের সন্মানিত জেলা প্রশাসক সহ উর্ধতন কর্মকর্তাগন। ত্রিশাল কানিহারি জনগন ও দেশের সুধি সমাজ আশাবাদী জেলা প্রশাসক তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচারটিই করবেন। ভ‚মি করদাতাগন ও জনগনের প্রত্যাশা, ভাবমুর্তি আর সুনাম হারানো কোন নারী চাকরিজীবির চোখের জল দেখতে চাই না।