সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (৩০ মে) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার মাধ্যমে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হলেও ব্যাংক খাতে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। লেনদেনের আধাঘণ্টায় প্রায় সবকটি ব্যাংক পতনের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। এতে ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে সূচক।
ভালো গতি দেখা যাচ্ছে লেনদেনে। আধাঘণ্টার লেনদেনেই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে। প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেনের শুরু হওয়ায় প্রথম মিনিটেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৯ পয়েন্টে বেড়ে যায়। এতে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি বা ২৭ মাস পর ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ পয়েন্টের মাইলফলক স্পর্শ করে।
৬ পয়েন্টের মাইলফলক স্পর্শ করার পর তা খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। একের পর এক ব্যাংক পতনের তালিকায় নাম লেখানোর কারণে সূচক নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। এমনকি ১০টা ২৮ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ১ পয়েন্ট কমে যায়।
৫ মিনিটে অন্য খাতের কিছু প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ে। এতে আবার ঊর্ধ্বমুখী হয় সূচক। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৩৮ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১ পয়েন্টে বেড়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ১ পয়েন্ট বেড়েছে। ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ৭ পয়েন্ট।
এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৭২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১১টির। ৫২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫৩১ কোটি ২৫ টাকা।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়লেও বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে ব্যাংকের ক্ষেত্রে। এখন পর্যন্ত লেনদেনে অংশ নেয়া ২২টি ব্যাংকের শেয়ার দাম কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ৬টির।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ১৬৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৮০টির, কমেছে ৬৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির।