ম্যানচেস্টারে শুরু থেকেই ছিল বৃষ্টির বাগড়া। ফলে দৈর্ঘ্য নেমে এসেছিল ২৯ ওভারে। সেই ম্যাচে শেষমেশ শেষ হাসিটা হেসেছে ইংল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিয়েছে ১১৮ রানের বিশাল ব্যবধানে। এর ফলে ইংল্যান্ড সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে।
বৃষ্টির কারণে টসেও দেরি হয়েছে বেশ। ম্যাচ যখন শুরু হয়েছে, তখনই তা হয়ে গিয়েছিল ২৯ ওভারের ম্যাচ। টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট করতে পাঠায় ইংলিশদের।
আনরিখ নরকিয়া আর ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের তোপে শুরুটা ভালোই হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। ইংল্যান্ড উইকেট খোয়াতে থাকে নিয়মিত বিরতিতে। শুরুটা করেছিলেন নরকিয়া, ফিরিয়ে দিয়েছিলেন জেসন রয়কে। এরপর জনি বেয়ারস্টো, ফিল সল্ট আর জো রুটকে ফেরানোর কাজটা সারেন প্রিটোরিয়াস। কেশভ মহারাজ যখন ফেরালেন মঈন আলিকে, ৭২ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে ইংলিশরা তখন রীতিমতো কাঁপছে।
সেই থেকে ইংলিশদের রানটা ২০০ ছুঁয়েছে লিয়াম লিভিংস্টোন আর স্যাম কারানের কল্যাণে। দুইজনের ত্রিশোর্ধ্ব দুই ইনিংসের সঙ্গে ডেভিড উইলি, জস বাটলারদের ছোট ছোট অবদানে অলআউট হওয়ার আগে ২০১ রান স্কোরবোর্ডে তোলে ইংল্যান্ড।
জবাবে ১০ রান তোলার আগেই ৪ উইকেট খুইয়ে বসে। কুইন্টন ডি কককে ফেরান ডেভিড উইলি। এরপর ইয়ানেমান মালান আর রাসি ফন ডার ডাসেনকে সাজঘরের পথ দেখান রিস টপলে। রান আউটে কাটা পড়েন এইডেন মার্করাম। ৬ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে ম্যাচে তখনই হেরে বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
এরপর হাইনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার আর ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের যথাক্রমে ৩৩, ১২ আর ১৭ রানের ইনিংসে কেবল ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছে প্রোটিয়ারা, জয়টা আর তুলে নিতে পারেনি। উইলি আর টপলির গড়ে দেওয়া মঞ্চে শেষটা করেন আদিল রশিদ আর মঈন আলি। যার ফলে শেষমেশ সফরকারীরা ইনিংস শেষ করে ৮৩ রানে গুটিয়ে গিয়ে। ১১৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড।