দক্ষিণ কোরিয়ার আর্থিক সহযোগিতার প্রস্তাব জোরালোভাবে নাকচ করেছে উত্তর কোরিয়া। কঠোর ভাষায় প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেন দেশটির নেতা কিম জং উনের ক্ষমতাধর বোন কিম ইয়ো জং। পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের শর্তে এ সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়োন সুক-ইয়োল।
উত্তর কোরিয়ার সম্প্রচারমাধ্যম কেসিএনএ-এর বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ক্ষমতাগ্রহণের শততম দিনে গত বুধবার (১৭ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়োন সুক-ইয়োল এক ‘সাহসী পরিকল্পনা’ ঘোষণা করেন। এই পরিকল্পনায় বলা হয় পিয়ংইয়ং পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ শুরু করলে ধাপে ধাপে আর্থিক সহযোগিতা দেবে সিউল।
উত্তর কোরিয়া এ প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের এ প্রস্তাবের সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানায়। প্রতিক্রিয়ায় কিম ইয়ো জং এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের সম্মান পরমাণু অস্ত্র। এর বিনিময়ে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করার পরিকল্পনাকে ইয়োনের মহান স্বপ্ন, আশা এবং পরিকল্পনা বলে মনে করায় আমরা বুঝতে পেরেছি তিনি সত্যিই সহজ এবং এখনও শিশুসুলভ’।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম কেসিএনএ-তে প্রচারিত বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ভুট্টার পিঠার জন্য কেউ ভাগ্য ত্যাগ করে না’।
কিম ইয়ো জং স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, ‘সাহসী পরিকল্পনা কাজ না করলে যদি তিনি ভবিষ্যতে কোনো বড় পরিকল্পনা নিয়ে দরজায় কড়া নাড়েন, তাহলে আমরা স্পষ্ট করে দিচ্ছি আমরা তার সঙ্গে মুখোমুখি বসব না’।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইয়োনের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার প্রস্তাবটি আগেও দক্ষিণ কোরিয়ার কয়েক জন প্রেসিডেন্ট দিয়েছেন। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্মেলনের সময়েও এই প্রস্তাব রাখা হয়।
থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের সিনিয়র ফেলো স্কট স্নাইডার বলেন, ‘ইয়োনের উদ্যোগ উত্তর কোরিয়াকে অর্থনৈতিক সুবিধা দিতে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যর্থ প্রস্তাবগুলোর তালিকায় নতুন সংযোজনৃ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা শুরু করার ব্যর্থ প্রচেষ্টার পেছনেও এই একই অনুমান ছিল’।