দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে দলীয় নেতাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে ৩টি নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় আবারও নেতাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, লিডারশিপ তৈরি, দল ও সরকার নিয়ে মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নেওয়া এবং সরকারে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেশের মানুষের কাছে বেশি করে তুলে ধরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি দিয়ে বৈঠকে উপস্থিত থাকা এক নেতা বলেন, এই তিন বিষয়ে আওয়ামী লীগ পিছিয়ে রয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।
সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, যৌথ এ সভায় সাংগঠনিক আলোচনাই হয়েছে। সারাদেশ সফরের জন্য দলের পক্ষ থেকে যে ৮টা টিম করা হয়েছে, সেই টিমগুলোকে দ্রুত সময়ের ভেতরে মাঠে নেমে যেতে বলা হয়েছে। করোনার কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রমে দল অনেক পিছিয়ে গেছে এ দাবিও করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা যেহেতু কমেছে, আমি চাই আপনারা সাংগঠনিক কাজ শুরু করেন।’
বৈঠকসূত্র জানায়, দলীয় সভাপতি বলেন, ‘আপনারা যখন সম্মেলনসহ সাংগঠনিক কাজে বিভিন্ন এলাকায় যাবেন, তখন দলীয় নেতৃত্ব এমন লোকের হাতে তুলে দিবেন যারা দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ, দলের জন্য কাজ করে এবং দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত।’
শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। দলের মূল লক্ষ্য তৃণমূলের সম্মেলন করা। দলকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। সম্মেলনের মধ্য দিয়ে লিডারশিপ তৈরি করেন। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসবে ততই বিরোধী পক্ষের মিথ্যা প্রচার, অসত্য বক্তব্য ও গুজব বাড়বে। এগুলো মোকাবিলা করতে হবে। আপনারা যখন যেখানে যাবেন সবার কাছে দেশের উন্নয়নে সরকারের অবদান প্রচার করবেন। এছাড়া আগামী নির্বাচনে ইশতেহার প্রণয়নে ইকোনমি অ্যাক্টিভিটির কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।