জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, দলীয় প্রতীকে এককভাবে নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি। আমরা চাই নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ। নির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি বোঝা যাবে প্রতীক বরাদ্দের পর। এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির নয়জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। এ ছাড়া ২৭২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ আছে। বাতিল হওয়া নয়জন আপিল করবেন।
আজ মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বনানীর জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, গত কয়েক বছরের স্থানীয় নির্বাচনের অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না। নির্বাচন কমিশন আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর হবে। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছে বলেই নির্বাচনে এসেছি।
তিনি বলেন, বর্তমানে এন্টি আওয়ামী লীগের ভোট ডাবল। ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে পারলে এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে আমরা আওয়ামী লীগের থেকে বেশি ভোট পাব।
বিএনপি না এলেও ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে কি না- জানতে চাইলে চুন্নু বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। ভোটার কেন্দ্রে আসতে পারলে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভালো করতে পারব। ২০০১ সালে আমার আসনে দেখেছি আওয়ামী লীগের চেয়ে অ্যান্টি আওয়ামী লীগ ভোট ডাবল। বিএনপি কেন নেই (নির্বাচনে) সেটা তো আপনারা জানেনই। তাদের কিছু দাবি-দাওয়া আছে। এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। বিএনপি তাদের টেকনিকে চলে, জাতীয় পার্টি তার নিজস্ব কৌশলে চলে। এ জন্য আমরা ভোটে এসেছি। ভোটের পরিবেশ নিয়ে আমাদের দ্বন্দ্ব ছিল। ইসি আমাদের জোরালোভাবে আশ্বস্ত করেছে, সরকার বলছে তারাও একটা পরিবেশ করার চেষ্টা করবে যাতে ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে পারেন। সাধারণ মানুষ যদি কেন্দ্রে আসার সুযোগ পান আমার মনে হয় আমরা আওয়ামী লীগের চেয়ে ভালো করব।
ভোটের পরিবেশ প্রসঙ্গে চুন্নু বলেন, ইসি আমাদের সর্বোচ্চ আশ্বস্ত করেছে। আমাদের যে দাবি, যেন ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসতে পারেন, আসার যেন উৎসাহ পান, সেরকম একটা পরিবেশ ও ভোটাধিকার যাতে প্রয়োগ করতে পারেন, তার পরিবেশ। ইসি আমাদের আশ্বস্ত করেছে। ইসিকে সহযোগিতা করার সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব সরকারের, তারাও আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে ভালো পরিবেশ হবে। সেই ভালো পরিবেশে আশ্বস্ত হয়ে বা আশ্বাস পেয়ে আমরা নির্বাচনে কাজ শুরু করেছি। ১৮ তারিখের পর মাঠে যাবো, তখন বুঝবো অবস্থা কী।
তিনি বলেন, ‘আচরণবিধি অনুযায়ী কোনো প্রার্থীর তো মাঠে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা নির্বাচনের প্রাথমিক কাজগুলো সারছি। মনোনয়নপত্র দাখিল, অনেকের বাতিল হয়েছে। এসব জিনিস আমরা মনিটর করছি। আমরা নির্বাচনে পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝবো প্রতীক বরাদ্দের পর, এর আগে কোনো প্রার্থীর ভোট চাওয়া বা প্রচার করার কোনো সুযোগ নেই। ফিল্ডে গিয়ে যদি জনগণের সঙ্গে বসে কথা বলা না যায়, তাহলে বাস্তবভাবে নির্বাচনে কী অবস্থা সেটা এখন বলা মুশকিল। নির্বাচনের কী অবস্থা, মাঠের কী অবস্থা ১৮ তারিখের পরে হয়তো বলতে পারব।