শীতকালীন শাক-সবজি চাষে ব্যস্ত কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার কৃষকেরা। ইতিমধ্যে উপজেলার বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। তবে বাজারে শাক-সবজির দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকেরা। ফলে চড়া দামে চারা কিনতে হলেও বেশি দাম পাওয়ার আশায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
উপজেলার তালতুলি, চেঙ্গাকান্দি ও কদমতলী মোহাম্মদপুর,জিংলাতলি ও সুন্দলপুর গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা শীতের সবজি খেতে কেউ আগাছা পরিষ্কার করছেন, কেউ কীটনাশক দিচ্ছেন। বেড়ে উঠছে শাক-সবজির চারা। অনেকেই ইতিমধ্যে মুলা, মুলা শাক, লাউ ও লালশাক বিক্রি শুরু করেছেন।তালতলি গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, গত বছর ৪ হাজার ফুলকপির চারা কিনেছি ১ হাজার ৪০০ টাকায়। এ বছর এক হাজার চারার দাম ২ হাজার টাকা। ৪ হাজার চারা কিনেছি ৮ হাজার টাকা দিয়ে। প্রতিবছর তিন-চার কানি জমিতে সবজি চাষ করতাম। এ বছর সার ও বীজের দাম বেশি হওয়ায় ৩১ শতক জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। তবে বাজারে এ বছর সবজির দাম অনেক বেশি। আশা করি চাষাবাদের খরচ উঠবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন বলেন, এ বছর শীতের শাকসবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে টমেটো ১২০ হেক্টর, লাউ ৭০ হেক্টর, লালশাক ৫০ হেক্টর, মুলা ৩৫ হেক্টর, বেগুন ১৫ হেক্টর ও শিম ৭০ হেক্টর। এ ছাড়া ১৪ হাজার ৭ শত ৬০ হেক্টর জমিতে অন্যান্য শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসলাদী আবাদ করা হয়েছে।
তবে মাঠ পর্যায়ে শাক-সবজি চাষের ওপর কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আমরা সহযোগিতা করে আসছি। যাঁরা বসতবাড়িতে শাক-সবজি চাষ করেন, তাঁদের আমরা সার, বীজসহ আনুষঙ্গিক সহযোগিতা দিচ্ছি।