দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, বিআরটিএ ও পাসপোর্ট অফিসে একযোগে ‘দালালবিরোধী’ অভিযান শুরু করেছে র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আজ রবিবার বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিরপুর বিআরটিএসহ সারাদেশে বিভিন্ন হাসপাতাল, পাসপোর্ট অফিস ও বিআরটিএ অফিসে বেলা ১০টার দিকে একযোগে এই অভিযান শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অভিযান চলছে। দিনশেষে গণমাধ্যমকে অভিযানের ফল জানানো হবে।’
ইতোমধ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ও পাসপোর্ট অফিসে দালালদের বিরুদ্ধে একযোগে অভিযান পরিচালনা করে ৫১ জনকে আটক করেছে র্যাব।
রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিআরটিএ ও পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় একযোগে অভিযান শুরু করে র্যাব-১০ এর পৃথক দল।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, বিআরটিএ অফিসে দালালির অভিযোগে ৩৬ জন এবং পাসপোর্ট অফিসে দালালির অভিযোগে ১৫ জনকে আটক করে র্যাব-১০। পাসপোর্ট অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এনায়েত কবির সোয়েব।
অন্যদিকে পৃথক অভিযানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩০ দালাল আটক করেছে র্যাব-৩ এর একটি দল।
অন্যদিকে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস এলাকায় রবিবার সকাল থেকে অভিযানে নেমেছে র্যাব-২ এর একটি দল। সেখানে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-২ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত চলমান রয়েছে।
র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক এএসপি ফজলুল হক জানান, র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী এ পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
এ ছাড়া দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে অভিযান চালানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। অভিযানে ৩০ জন দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সকাল ১০টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে দালাল ধরতে এ অভিযান চালায় র্যাব-৩।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়েও দালাল ধরতে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে দালাল ও প্রতারক চক্রের ৩০ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-৭। দুপুরে নতুনপাড়া বিআরটিএ কার্যালয় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।