দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় নিখোঁজের এক দিন পর জাকিয়া আক্তার (১১) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই শিশুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ মাটি চাপা দেয়া হয়েছে।
রোববার (৪ জুলাই) সকাল ১০টায় জেলার কাহারোল উপজেলার ২নং রসুপুল ইউনিয়নের বনড়া গ্রামের একটি বিলের পাশ থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত কিশোরী জাকিয়া আক্তার ৩ নম্বর তারগাঁও ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের কন্যাশিশু। সে একই উপজেলার বাসুদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কাহারোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলী জানান, শনিবার দুপুরে উপজেলার তরলা বাজারে শিক্ষক শরিফুল ইসলামের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায়। এরপর সে আর বাড়িতে ফেরেনি। পরে সেই শিক্ষকের বাড়িতে তার পরিবারের লোকজন গিয়ে জানতে পারে যে, জাকিয়া প্রাইভেট পড়তে আসেনি। রোববার সকাল ১০টায় বনড়া গ্রামের একটি বিলের পাশে নতুন মাটির ঢিবি দেখে সন্দেহ হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কিশোরীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কি-না তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে কাহারোল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
এই ঘটনার পর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোমিনুল করিম, কাহারোল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রওশন আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।