প্রায় দুই বছর পর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেছেন প্রতিবেশী দুই দেশ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ শনিবার (২২ জুন) স্থানীয় সময় বেলা ১২টার (বাংলাদেশ সময় সাড়ে ১২টা) দিকে দিল্লির হায়দ্রারাবাদ হাউসে এ বৈঠক শুরু হয়।
গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে ঠিক কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হবে তা এখনো জানা যায়নি। তবে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, দুই সরকারপ্রধানের বৈঠকে অমীমাংসিত বিষয়গুলো যেমন সীমান্ত হত্যা, পানিবণ্টন সমস্যা বা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা এসব বিষয় আলোচনায় থাকতে পারে। এছাড়া অর্থনৈতিক সহযোগিতা, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, জ্বালানিসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের নানা বিষয়ের মধ্যে মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা সংকটের মতো বিষয়ও থাকছে। এছাড়া বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে চীন ইস্যু।
আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই তিস্তা প্রকল্প নিয়ে উৎসাহ দেখিয়েছে চীন। যা ভালো চোখে দেখছে না দিল্লি। জুলাই মাসেই বেইজিং সফরে যাওয়ার কথা শেখ হাসিনার। এর আগে তার ভারত সফর গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
এর আগে ২০২২ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষর হয় সাতটি সমঝোতা স্মারক। কথা হয়, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের বৃদ্ধি, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক ও মানব পাচার রোধ নিয়েও। শনিবারের বৈঠকে নির্ধারণ হতে পারে ২০২২ সালের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বাস্তবতা এবং আগামী পাঁচ বছরের রূপরেখা।