দীর্ঘ ১৭ বছর পর আকাশ পথে আবারো জাপানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চালু করল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। নতুন ফ্লাইট চালুর ফলে যাত্রাপথে সময় ও অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি রুটটি লাভজনক হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১.৪৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায় বিমানের প্রথম ফ্লাইট। স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৯.১৫ মিনিটে জাপানের নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। উদ্বোধনী ফ্লাইট উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-২ এ এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, জাতির পিতার হাতে গড়া বিমান দেশের এভিয়েশন শিল্পের পথ প্রদর্শক। ধীরে-ধীরে বিমানের সক্ষমতা আরও বেড়েছে। জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রী গত এপ্রিলে জাপান সফরের পর এই রুটে ফ্লাইট চালুর আগ্রহ জানান। এরই প্রেক্ষিতে এই রুটে আজ ফ্লাইট চালু হলো। এর মাধ্যমে জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিরা সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনরি।
তিনি বলেন, দীর্ঘ অপেক্ষার পর জাপানে বিমানের ফ্লাইট চালু হওয়ায় আমি আজ খুবই উচ্ছ্বসিত। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। প্রায় ১৭ বছর পর এই রুটে পুনরায় ফ্লাইট চালু হওয়ায় জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও উজ্জীবিত হবে। বাংলাদেশে যে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণাধীন আছে সেটিও জাপানের সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে। আমি আশা করব আগামীদিনেও দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা ও সুসম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা-টোকিও আকাশপথে সরাসরি যোগাযোগ থাকলেও টানা লোকসানের কারণ দেখিয়ে ২০০৬ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যকার যাতায়াতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়াসহ নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় নিয়মিত যাত্রীদের।