নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পুলিশের নির্লিপ্ততার কারণে ঝিনাইদহের শৈলকুপা ও হরিনাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শনিবার ( ২৩ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আদিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রত্যাহার করা দুই ওসি হলেন: শৈলকূপা থানার ঠাকুর দাস ও হরিণাকুণ্ডু থানার মাহবুবুর রহমান।
আজ ইসির বৈঠক শেষে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা (ডিসি) ও পুলিশ সুপারের প্রতিবেদনের আলোকে সংশ্লিষ্ট থানার নির্লিপ্ততার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই দুই থানার ওসিকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন।
ওই দুই ওসিকে প্রত্যাহার করে তাদের জায়গায় উপযুক্ত কর্মকর্তাদের পদায়ন করার জন্য আজই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে চিঠি দিয়েছে ইসি। চিঠিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের জন্য ওই দুই ওসিকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
এর আগে, নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান বৈঠক করেন। সেখানে নির্বাচনের মাঠে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আলেচনা হয়।
অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আচরণবিধির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেকোনো ধরনের অভিযোগ এবং ভিডিও ক্লিপ যেখান থেকেই আসুক না কেন, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হবে। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজশাহী ও ঝিনাইদহে প্রার্থীদের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, দায়িত্ব পালনে নির্লিপ্ততার কারণে ঝিনাইদহের শৈলকুপা ও হরিণাকুণ্ডু থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওখানে যে ঘটনা ঘটেছে, তদন্ত প্রতিবেদনে তাদের নির্লিপ্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চাপমুক্ত রাখতে নির্বাচন কমিশন কী করছে, এমন প্রশ্নরে জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, কারও প্রতি যেন পক্ষপাতমূলক আচরণ না হয়। অচিরেই দেখবেন তারা বাধাহীনভাবে প্রচারণা চালাতে পারবে।